বিশেষ সংবাদ
জাতীয়
সারাদেশ
রাজনীতি
বিশ্ব সংবাদ
খেলা
বিনোদন
বাণিজ্য
লাইফস্টাইল
টেক
ভিন্নচোখে
মতামত
রাজধানী
সার
‘দেশে এই মুহূর্তে মোট জনগোষ্ঠীর ৩৬ শতাংশ নারী কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করছে। তাদের মধ্যে ৮০ ভাগই গণপরিবহন ব্যবহার করে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক জরিপ প্রতিবেদন বলছে, শতকরা ৯৪ ভাগ নারী যাত্রী কোনো না কোনোভাবে গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হোন। সিসি ক্যামেরা বসলে এই হয়রানি কিছুটা কমে আসবে।’
বুধবার (৮ জুন) বিকেলে ইস্কাটনের মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
গণপরিবহনে নারী যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে রাজধানীর ১০০টি পাবলিক বাসে সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু হবে।
সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আগামী এক বছরের জন্য এই পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিপ্ত ফাউন্ডেশন এতে সহায়তা করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও কর্মসূচি পরিচালক পাপিয়া ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব এনডিসি মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, যুগ্ম সচিব ফেরদৌস বেগম এবং দিপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে হাসান প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোসা. ফেরদৌসী বেগম।
এসময় তিনি বলেন, ‘গণপরিবহনে নারীদের বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি একটা স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই হয়রানির ব্যাপারে নারীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। এ ছাড়া পাবলিক বাসে মাত্র নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য মাত্র ৯টি আসন বরাদ্দ থাকায় বাধ্য হয়ে অপরিচিতদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে বসতে হয়।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন বলেন, ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রাম চালু আছে। প্রধানমন্ত্রীর স্লোগান ‘অফিস ঘরে যাত্রা পথে, নারী থাকবে নিরাপদে’। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর নারীদের নিরাপত্তায় নানাভাবে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে দুই সিটি করপোরেশনের ১০০টি বাসে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। আগামীতে এই পরিধি আরও বাড়ানো হবে।’
দিপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে হাসান বলেন, ‘নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই প্রকল্প দুই বছর ধরে চলছে, যা চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য দুই সিটির একাধিক বাস চালক ও হেলপারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কেউ সমস্যায় পড়লে বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেন্ট্রাল মনিটরিং ও কন্ট্রোল রুমে জানাতে পারবে। প্রতি তিন মাস অন্তর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কর্মকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।