আবাসিক হল সংস্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রশাসনিক ভবন ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন।
এ সময় কলেজের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীকে বইপত্র ও তোশক নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়। পরে কলেজের উপাধ্যক্ষ দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে বেলা দুইটার দিকে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি শেষ হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। তাতে লেখা ছিল ‘প্রশাসনের বানোয়াট ছল শামসুদ্দিন গেল রসাতল’, ‘প্রশাসনের গা-ছাড়া ভাব শামসুদ্দিনের অবস্থা খুব খারাপ’ ইত্যাদি।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে কলেজের আবাসিক ছাত্রাবাস এবং ছাত্রীনিবাসগুলো সংস্কার করা হচ্ছে না। হলের ভেতরে ছাদ থেকে পানি চুইয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি পড়ায় ঘুমাতে পারেন না শিক্ষার্থীরা।
শৌচাগারগুলো ভাঙাচোরার পাশাপাশি পানি থাকে না। হলের অভ্যন্তরে বৃষ্টির পানি জমে স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। একাধিকবার বিষয়গুলো কলেজ প্রশাসনের কাছে জানিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নাইমুর রহমান বলেন, ছাত্র ও ছাত্রীদের হলে কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। রাতে বহিরাগতরা হলের অভ্যন্তরে ঢোকে। হলে একাধিকবার চুরির ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নৈতিক সমর্থন আছে বলে জানান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, যারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন, তাঁরা সবাই সাধারণ শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগের নৈতিক সমর্থন থাকলেও সংগঠন এতে অংশ নিচ্ছে না।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন নয়, দাবিদাওয়া নিয়ে এসেছিলেন। যেগুলো সমাধান সম্ভব, সেগুলো সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী আরও বলেন, যে হলের কথা বলা হচ্ছে, সেটি প্রায় শত বছরের পুরনো। তাই যেগুলো জরুরি, সেগুলো সংস্কারের চেষ্টা করা হবে।