সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আমদানি-রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল। এজন্য বার বার বিস্ফোরণের কারণে আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।
গতকাল রাত ১০ থেকে এখনো আগুন নেভাতে একটানা কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। একটানা কাজ করতে গিয়ে পানির সংকটেও ভুগতে হচ্ছে তাদের। এজন্য চট্টগ্রামের আশপাশের জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আনা হয়।
আগুন নেভাতে গিয়ে রাত ১১টার দিকে বিস্ফোরণে সমগ্র এলাকা কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের সেই শব্দ শোনা যায় ৪ কিলোমিটার দূর থেকেও। এছাড়া বিস্ফোরণে বিএম কনটেইনার ডিপোর আশেপাশের এলাকার ঘরবাড়ির দরজা জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (ইউপি) মোহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, রাত ১০টার দিকে বিকট শব্দের আওয়াজ শুনতে পাই। এই শব্দ প্রায় চার কিলোমিটার দূর থেকে শোনা যায়। বিস্ফোরণের পর বিএম কনটেইনার ডিপোর আশেপাশের ঘরবাড়ির কাচের জানালা ভেঙে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। বার বার বিস্ফোরণের কারণে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আমাদের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। পানির পাশাপাশি কেমিক্যালের আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য যা করা দরকার তাও করা হচ্ছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন অনেকে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাকাতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।