সিলেট নগরীর রিকাবিবাজার এলাকার আলোচিত পুলিশ লাইন লুসাই গির্জার বেদখল হওয়া ভূমি রোববার সরেজমিন তদন্ত করবে সদর উপজেলা ভূমি অফিস। এ জন্য উভয় পক্ষকে নোটিশও প্রদান করেছেন সিলেট সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)। জেলা বারের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম কর্তৃক গির্জার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে টাওয়ার নির্মাণ করায় সেই জায়গা শনাক্তে সার্ভে হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ দিকে সার্ভেকালে নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গির্জা সমিতির চেয়ারম্যান জমিংথাংগা লুসাই মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর আবেদন করেছেন। বুধবার তিনি দাখিল করা আবেদনে ভূমি সরেজমিন তদন্ত ও পরিমাপকালে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে কোতোয়ালি থানার ওসিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, রিকাবিবাজারের সিলেট জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন লুসাই গির্জা সমিতির বেশকিছু জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জনের সাথে বিরোধ চলে আসছে। বিশেষ করে সিলেট জেলা বারের আইনজীবী সিরাজুল ইসলামের সাথে গির্জা সমিতির বিরোধ চলছে একযুগ ধরে। জালিয়াতি করে গির্জা সমিতির জায়গা টাওয়ার নির্মাণ ও ফ্ল্যাট বিক্রি নিয়ে সমকালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদও প্রকাশিত হয়। সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নং- জিআর ০২/২১, কোতোয়ালি সিআর-১৩৬৩/১৬, কোতোয়ালি ৯৭৬/১৬ ও ২৩১/২২সহ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সমিতির সভাপতি জামিংথাংগা লুসাই জানিয়েছেন, অ্যাডভোকেট সিরাজ জালিয়াতি করে তাদের জায়গার উপর ইম্পালস টাওয়ার নির্মাণ করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ফ্ল্যাট ও শেয়ার বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসএ রেকর্ড অনুযায়ী ওই ভূমি হস্তান্তর বা বিক্রির সুযোগ নেই। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দলিল সৃষ্টি ও দখল করে তা করছেন। তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলাসহ একাধিক মামলা চলছে।
সার্ভের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আবুল হাসান জানিয়েছেন, সার্ভেয়ার সরেজমিন গির্জার জায়গার পরিমাপ ও বর্তমান অবস্থা দেখে প্রতিবেদন দেবেন।