২০২২-০৬-০১ ০৪:২১:৪৮ / Print
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নিজের স্বামীকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা দায়ের করেন এক নারী। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তৎপরতায় ৭ মাস পর বেরিয়ে এসেছে এ ঘটনার মূল রহস্য। মূলত প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়েই অপহরণ নাটক সাজিয়েছিলেন বাদী।
রোববার আত্মগোপনে থাকা ব্যক্তিকে চট্টগ্রামের চকবাজার থেকে উদ্ধার করেছে পিবিআই। তার নাম জুলমত আলী।
গত সোমবার দুপুরে তাকে সিলেট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পিবিআই জানায়, জুলমতকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর সিলেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী লিপি বেগম।
তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পূর্ব যুধিষ্ঠিপুর গ্রামের বাসিন্দা। একই গ্রামের রুফই মিয়া, তখই মিয়া ও জিলু মিয়াকে এ মামলায় আসামী করা হয়।
সম্প্রতি মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে অপহৃত জুলমতকে উদ্ধারের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন সিলেট জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক। এরপর জুলমতের সন্ধানে নামে সিলেট পিবিআই।
পিবিআই সূত্র জানায়, জুলমত পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। প্রবাস থেকে দেশে ফিরে মাছ ধরার ছাই এর ব্যবসা করতেন।
এক সময় সে ব্যবসা করার জন্য এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ধার দেনা করেন। ব্যবসায় লোকসান হলে চিন্তিত হয়ে পড়েন।
এর মধ্যে একটি এনজিও সংস্থার কাছ থেকে কিস্তি তুলেন জুলমত। যাদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তারা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললে সে টাকা দিতে গড়িমসি করেন।
এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেন বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবেন। ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর রাতে কাউকে কিছু না জানিয়ে চট্টগ্রামে চলে যান জুলমত।
সেখানে গিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন তিনি। এরই মধ্যে তার স্ত্রী সিলেট আদালতে রুফই, তখই ও জিলু মিয়াকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করেন।
গত সোমবার বিকেলে জুলমতকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিলেট জেলা পিবিআইয়ের উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ ফজলে আজিম পাটোয়ারী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জুলমত জানিয়েছেন, তাকে কেউ অপহরণ করেনি।
ঋণ করা টাকা দিতে না পারায় কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য তার স্ত্রী বাদী হয়ে সিলেট আদালতে অপহরণের মামলা করেন। জুলমত চট্টগ্রামে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন।