২০২২-০৫-২৮ ০৩:০৪:১৮ / Print
বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর মাজার জিয়ারত এবং কর্মী-সমর্থক নিয়ে জোরেশোরে প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা।
এছাড়া, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুরু করেছেন ভোট প্রার্থনা। বিশেষ করে ১০ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন প্রবাসী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন, ইতোমধ্যে পৌরশহরসহ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সড়কে টাঙানো হয়েছে পোস্টার, চলছে ছন্দে ছন্দে মাইকিংয়ে প্রচার।
আগামী ১৫ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী ১০ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন দলীয় এবং ৭ জন স্বতন্ত্র।
আবার তাদের মধ্যে ৬ জনই হলেন ইউরোপ ও আমেরিকা প্রবাসী। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফারুকুল হক, আব্দুল কুদ্দুছ টিটু ও আব্দুস সবুর, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুস শুকুর ও অজি উদ্দিন এবং কানাডা প্রবাসী আহবাব হোসেন সাজু।
এ নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত দলগতভাবে অংশগ্রহণ করছে না। নৌকার প্রার্থীর সাথে আওয়ামী ঘরাণার আরো ৩ জন শক্তিশালী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নির্বাচন দরঈঅনেকটা জটিল রূপ ধারণ করেছে।
এ মুহূর্তে নির্বাচনে কে এগিয়ে, আর কে পিছিয়ে তা নির্ধারণ করা কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এখন পর্যন্ত পঞ্চমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন পৌরসভা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন।
প্রতীক বরাদ্দ প্রাপ্তরা হলেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মো. আব্দুস শুকুর (নৌকা), জাতীয় পার্টির সুনাম উদ্দিন (লাঙ্গল),
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির এডভোকেট আবুল কাশেম (কাস্তে), সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন (জগ), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জিএস ফারুকুল হক (চামচ),
আওয়ামী লীগের অপর বিদ্রোহী আব্দুল কুদ্দুছ টিটু (হেলমেট), আহবাব হোসেন সাজু (কম্পিউটার), আব্দুস সামাদ আজাদ (হ্যাঙ্গার), মো. আব্দুস সবুর (মোবাইল)
ও অজি উদ্দিন (নারিকেল গাছ)। একইদুন ওয়ার্ড ভিত্তিক কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। এতে নির্ধারিত প্রতীক নিয়ে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর অংশ নিচ্ছেন।