সিলেটে গোলাপগঞ্জে বন্যার পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে উপজেলার নতুন নতুন এলাকা। হাট-বাজার, বাড়ীঘরে ঢুকছে পানি। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। বন্যার পানি ও পাহাড়ি ঢলে উপড়ে পড়েছে ব্রীজ। সংযোগ রাস্তা ভেঙ্গে এলাকায় শা শা কওর ঢুকছে পানি। অসহায় লোকজন বাড়ীঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অন্যত্র।
চরম সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের। অসহায় লোকনদের জন্য খোলা হয়েছে ১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন লোকজন।
জানাযায়, অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
হাকালুকির হাওরসহ ছোটবড় খাল, বিল ও সব হাওর ডুবে একাকার হয়ে গেছে পানিতে। নদীর পানি উপচেপড়ে প্লাবিত হয়ে গেছে উপজেলার পৌরসভার স্বরসতি, কামারগাও সহ কয়েকটি এলাকা।
শরীফগঞ্জ, বুধবারীবাজার, বাদেপাশা, বাঘা, ঢাকাদক্ষিণ, ভাদেশ্বরের মীরগঞ্জ, সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের লোজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকায় পানি ঢুকার ফলে লেকজন আশ।রয় নিচ্ছেন অন্যত্র।
শরীফগঞ্জে ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার কারণে লোজন দুর্বিসহ জীবনযাপন জরছেন শত শত লোকজন। তাদের ঘরে ঘরে খাদ্য নেই, নেই যাতায়াত ব্যবস্থা। কাজকর্ম নেই তাদের এমন অবস্থায় দিনানিপাত করছেন।
বাঘা ইউনিয়নের কালাকোনা, লালনগরসহ সবকটি গ্রাম এখন পানির নীচে তলিয়ে গেছে। আশপাশে খেলারমাঠ রাস্তা ও বাড়ীঘর পানির নীচে। বাঘার কালাকোর পরক্তিপুর ব্রীজটি পানির তোড়ে ভেঙ্গে পড়েছে। পাশাপাশি সংযোগ রাস্তা ভেঙ্গে এলাকায় শা শা করে ঢুকছে পানি। স্থানীয় মেম্বার সাবুল আহমদ জানান, ব্রীজটি ভেঙ্গে এবং সংযোগ রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ফলে এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পৌর এলাকায় ৪নং নং ওয়ার্ডের সুইস গেইট দিয়ে অবিরাম পানি ঢুকে শ্বরসতি, কামারগাওসহ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। আমুড়ার ঘাগুয়া ও শিকপুর এলাকায় কুশিয়ারা ডাইক ভেঙ্গে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়ে গেছে। এসব এলাকার লোকজন এখন রয়েছেন পানিবন্দি। ঘাগুয়া এলাকার জিয়াউল ইসলাম জাবের বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, কুশিয়ারা ডাইক ভেঙ্গে ঘাগুয়া ও শিকপুর এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, বন্যা আক্রান্ত লোকজনদের মধ্যে সরকারীভাবে ১২ মেট্রিক টন চাল ও ১শ ৫০প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে বন্যায় আক্রান্ত লোকজনের জন্য উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে খোলা হয়েছে ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র।