গোলাপগঞ্জে পূর্ব রেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভূলে ভরা ও অশুদ্ধ ভোটার তালিকা দিয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের প্রচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অন্য বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে স্কুলে ভর্তি করে ভোটার তালিকার অভিভাবকের নাম অন্তর্ভূত্তি করারও অভিযোগ করা হয়েছে।
একজন অভিভাবকে তালিকার দুই বার অন্তর্ভূক্ত করা, শিক্ষার্থীর স্থলে অভিভাবকের নাম অন্তর্ভক্তি করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে এবং প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন কয়েকজন অভিভাবক।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব রেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করা হয়। ২৬ মে এ নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোটার তালিকা করা হয়। কিন্ত হালনাগাদ না করে এ ভোটার তালিকায় অন্য স্কুলের ২শিক্ষার্থীকে ওই স্কুলে ভর্তি দেখিয়ে দুইজন অভিভাবকে ভোচার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
এছাড়া আইননুযায়ী খসড়া ও চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ থাকার নিয়ম থাকলেও সেটিও করা হয়নি।
পূর্ব রেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম প্রকাশিত চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর থাকলেও তারিখ নেই। এছাড়া একই ব্যক্তিকে তালিকায় করা হয়েছে দুইবার ভোটার।
এছাড়া ভোটার তালিকায় করা হয়েছে শিক্ষার্থীকে ভোটার। আবেদনের অভিযোগ কওর বলা হয়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম তার নিজস্ব লোক নির্বাচিত করতে তাড়াহুড়ো করে অশুদ্ধ চুড়ান্ত এ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেছেন।
এতে এলাকায় অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। তারা এ তালিকা বাতিল করে শুদ্ধ ভোটার তালিকা প্রনয়ন করে নির্বাচনের দাবি জানান।
আবেদনে স্বাক্ষর করেন ৬জন অভিভাবক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, কোন শিক্ষার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে স্কুলে ভর্তি করা হয়নি। সকল ণিয়ম মেনে এবং টিসি পেয়ে স্কুলে ভর্তি করেছি। ভোটার তালিকায় ভূলের বিষয়ে বলেন, ভোটার তালিকায় কম্পিউটারে কারণে কিছুটা ভূল হয়েছে। তা সংশোধন করা হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার পাল বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমি প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামকে ডেকে এনে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। তালিকায় যে ভূল হয়েছে তা সংশোধন করে আমার কাছে জমা দিতে বলেছি।