২০২২-০৫-০৮ ১০:৩৯:৩৩ / Print
জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট রাজনীতিক, সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ ট্যাক্সেস বারের সাবেক সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদ ৭ মে শনিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
আজ রোববার বিকাল ৩ টায় জাসদ কার্যালয় চত্ত্বরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি তার মরদেহ জাতীয় ও দলীয় পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে দেন।
এরপর জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি, জাসদ ঢাকা মহানগর কমিটি, জাতীয় নারী জোট, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ, জাতীয় যুব জোট, জাতীয় কৃষক জোট, জাতীয় আইনজীবী পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণী পেশার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার মরদেহে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর বাদ আছর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পূর্বে বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তাঁকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ পুলিশের একটি চৌকস দল গান স্যালুটের মাধ্যমে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
জানাজায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, এটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন, এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, সাবেক মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সভাপতি এডবোকেট মোঃ মমতাজ উদ্দিন ফকির ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুন নুর দুলালসহ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবীগণ।
সুপ্রিম কোর্টে জানাজার পর তার মরদেহ সেগুন বাগিচাস্থ বাংলাদেশ ট্যাক্সেস বার এসোসসিয়েশন চত্ত্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাদ মাগরিব তার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ পুরানা পল্টন লেইন বটতলা মসিজেদ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ এশা চতুর্থ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রাত ১১ টায় বনানী কবরস্থানে তার মায়ের কবরেই তাকে দাফন করা হবে।
এডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদ আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেল থেকে সাধারণ আসনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন।
তিনি এ নির্বাচনের প্রচারাভিযানের অংশ হিসাবে গতকাল ৭ মে দুপুর ১ টায় রাজবাড়ী বার এসোসিয়েশন মিলনায়তন, সন্ধ্যা ৬ টায় মাদারীপুর বার এসোসিয়েশন মিলনায়তন, রাত ৮ টায় গোপালগঞ্জ বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে নির্বাচনী প্রচারসভায় অংশগ্রহণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন।
তিনি রাত ৯:৩০ টায় গোপালগঞ্জে নির্বাচনী প্রচার সভায় বক্তব্য শেষ করেন। সভা চলাকালেই রাত ৯:৩৫ টায় আকস্মিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ প্রয়োজনীয় জরুরী চিকিৎসা প্রদান করে তাকে সুস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালান। চিকিৎসকগণের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি রাত ১০:২০ টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল রাতেই তার মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হয় এবং সকালে তার নির্বাচনী এলাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নিয়ে যাওয়া হয়।
নবীনগর পাইলট হাইস্কুল মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।