বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ইংরেজী, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা ENG

শিরোনাম : প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সাথে বিসিএ'র মতবিনিময় সুরমা টাওয়ারের ১৩ তলা থেকে পড়ে সিসিক কর্মচারীর মৃত্যু সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. খলিলুর রহমানের গণসংযোগ সিলেটে আজ থেকে শুরু হচ্ছে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ ইসি আনিছুর রহমান: নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ সহ্য করা হবে না ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর আহবান জানালেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ এপিবিএন সিলেট এর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্বোধন বাংলাদেশী কর্মীদের ভিসা সহজ করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু

পর্যটকের অপেক্ষায় পর্যটনকেন্দ্র জাফলং ও জল পাথরের বিছনাকান্দি

জাকির হোসেন, গোয়াইনঘাট

২০২২-০৫-০১ ১০:১৮:৩৫ /

প্রাকৃতিক রূপ ও লাবণ্যে সমৃদ্ধ সিলেটের সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাট উপজেলা। এই উপজেলায় রয়েছে নয়নাভিরাম একাধিক পর্যটন কেন্দ্র।

এ বছর চৈত্রের মাঝামাঝি সময় থেকে বৃষ্টিপাতের কারণে নদী, পাহাড়, চা বাগান আর পাহাড়ি ঝর্ণার সমন্বয়ে গড়ে উঠা এই উপজেলার সবকটি পর্যটনকেন্দ্র বর্ষার আগেই যেন ফিরেছে তার চির চেনা রূপে।

সবুজের সমারোহে সেজেছে পাহাড়-টিলা ও প্রকৃতি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নয়নাভিরাম এসব সৌন্দর্য অবলোকন করতে প্রতিবারের ন্যায় আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসবেন দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটের প্রকৃতিকন্যা জাফলং, পান্তুমাই ঝর্ণা,

সোয়াম ফরেস্ট রাতারগুল ও জল পাথরের বিছনাকান্দিতে। আগত পর্যটকদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত রয়েছে প্রকৃতির আপন মহিমায় গড়ে উঠা গোয়াইনঘাটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ঈদ পরবর্তী ছুটির দিনগুলোতে এসব পর্যটন কেন্দ্রে লাখো পর্যটকের পদচারণায় মূখরিত হয়ে উঠবে ।

সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও পর্যটন কেন্দ্রের আবাসিক হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন কসমেটিকস ও উপহার সামগ্রীর দোকানপাট সাজিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন আমেজে। গোয়াইনঘাটের চারটি পর্যটন কেন্দ্রেরই রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভিড় করেন প্রকৃতি কন্যা জাফলং ও জল পাথরের বিছনাকান্দিতে। মেঘালয় পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত প্রকৃতিকন্যা জাফলং। যেখানে আকাশসম উচুতে ঠাই দাঁড়িয়ে রয়েছে মেঘালয় পাহাড়। আর ওই পাহাড়ের বুকে চেপে ছাই বরণ মেঘমালা খানিকটা পর পর রঙ বদলাচ্ছে।

জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ভারতের ওমগট নদীর উপর ঝুলন্ত ব্রিজ, বালি ও পাথরের উপর দিয়ে বহমান স্বচ্ছ জলের স্রোতধারা, সমতল ভূমির চা বাগান ও খাসিয়া পল্লীর সৌন্দর্যের সঙ্গে প্রকৃতির সুনিপূন হাতের তৈরী ছায়া সুনিবিড় চির সবুজের পাহাড়ের বুক থেকে স্বচ্ছ জল রাশির মায়াবী ঝর্ণার মোহনীয় রূপ ভ্রমণ পিপাসুদের ভ্রমণের তৃষ্ণা যেন আরও বাড়িয়ে দেয়।

এছাড়াও বিজিবির সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় রয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক নির্মিত দৃষ্টিনন্দন সিড়ি ও জাফলং চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় পিয়াইন নদীর ওপর জাফলং সেতু। যে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে একই সঙ্গে দেখা যায় সমতল ভূমির চা বাগান ও ডাউকি নদীর স্বচ্ছ জলের স্রোতধারা এবং ভারতের মেঘালায়ের চির সবুজের সমারোহে সাজানো পাহাড়।

অপরদিকে বিছনাকান্দিতে রয়েছে জল আর পাথরের মিতালীতে জল পাথরের বিছানা। যেখানে স্বচ্ছ জলের স্রোতধারায় জলকেলি ও হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠেন আগত পর্যটকরা। তবে অনেক সময় আনন্দ ভ্রমণে আসা পর্যটকদের অসচেতনতায় পানিতে ডুবে মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠে।

তখন পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দ পরিণত হয় বিষাদে। আর এ বিষয়টা লক্ষ্য রেখে জাফলং ও বিছনাকান্দির আকর্ষনীয় স্থান সমূহে পর্যটক বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে ইতোমধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সভা করা হয়েছে।

সভায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ দুটি পর্যটন কেন্দ্রের ঝুঁকি এড়াতে আগত পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্রের দৃশ্যমান স্থানে সতর্কতামূলক বিভিন্ন নির্দেশনা সংবলিত সাইনবোর্ড সাটানো হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদেরও এ বিষয়ে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

প্রশাসনের পাশাপাশি তারা যেন পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকেন। এ বিষয়ে ট্যুরিষ্ট পুলিশ জাফলং জোনের ইনচার্জ (ওসি) মো. রতন শেখ জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগত পর্যটকরা যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারেন সে লক্ষে ট্যুরিষ্ট পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাহমিলুর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে গোয়াইনঘাটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ করে জাফলং ও বিছনাকান্দিতে প্রচুর পরিমাণ পর্যটকের সমাগম ঘটে।

তাই যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এ দুটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারের ঈদেও পর্যটকদের নিরাপত্তায় থানা পুলিশ, ট্যুরিষ্ট পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।

সিলেটসানডটকম-এবিসি

এ জাতীয় আরো খবর

সুরমা টাওয়ারের ১৩ তলা থেকে পড়ে সিসিক কর্মচারীর মৃত্যু

সুরমা টাওয়ারের ১৩ তলা থেকে পড়ে সিসিক কর্মচারীর মৃত্যু

সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে ট্রাক ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে ট্রাক ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২

 ইসি আনিছুর রহমান: নির্বাচনে  কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ সহ্য করা হবে না

ইসি আনিছুর রহমান: নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ সহ্য করা হবে না

আব্দুস সামাদ আজাদের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আব্দুস সামাদ আজাদের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু

উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু

কোম্পানীগঞ্জে বাস সিএনজি সংঘর্ষে  নিহত ২

কোম্পানীগঞ্জে বাস সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২