বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার নির্বাচন কমিশন তারিখ ঘোষনা করে। তারিখ ঘোষনার পরপরই চুপসে থাকা নেতা কর্মীরা জেগে উঠেছেন। অনেকেই রমজান মাসে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করছেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবারও দলগতভাবে অংশগ্রহণ করবে। তবে, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি, জাসদ দলগত, না স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পৌরসভার সাবেক প্রশাসক মো. তফজ্জুল হোসেনও এবার নির্বাচনী মাঠে থাকছেন । এলক্ষ্যে বেশ কিছুদিন থেকে তিনি নির্বাচনী হোমওয়ার্ক শুরু করেছেন।
সোমবার বিয়ানীবাজার পৌরসভাসহ বেশ কয়েকটি সিটি কর্পোরেশন, ইউপি ও উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ মে। বাছাই ১৯ মে এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ২৬ মে। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২৭ মে। দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠেয় এ পৌরসভা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে এখনো ভোটের ফাইনাল সিডি পাওয়া যায়নি। এজন্য ভোটারের সঠিক তথ্য এ মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে, এবারের নির্বাচনে নারী-পুরুষ মিলে ভোটার ২৯ থেকে ৩০ হাজারের কাছাকাছি হবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতীকের জন্য মাঠে রয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও দলের বিয়ানীবাজার উপজেলার সাবেক সভাপতি হাজি আব্দুল হাছিব মনিয়া, বর্তমান মেয়র মো. আব্দুস শুকুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ টিটু, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ ’৯৪ এর জিএস ফারুকুল হক, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জামাল হোসেন। এদের অনেকেই দলীয় মনোনয়ন না পেলে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
সিলেটসানডটকম -ঋষি রায়