ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত বৃটিশ হাই কমিশনার জাবেদ প্যাটেল বলেছেন, বৃটেনের কাছে সিলেট একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। প্রায় ৬ লাখ বৃটিশ-বাংলাদেশী যুক্তরাজ্যে বাস করেন। তারা বৃটেনের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
সোমবার সিলেট নগরীর একটি হোটেলে ব্রিটিশ হাই কমিশনের উদ্যোগে সিলেটের সুধীজনের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাবেদ প্যাটেল আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ট হয়েছে। বহুমাত্রিক এই সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করতে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশন কাজ করছে।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, পবিত্র রমজান পুরো বিশ্বের মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে। একই স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য সারা বিশ্বের মুসলমানরা একযোগে সিয়াম পালন করেন। এটিই মুসলমান ও ইসলাম ধর্মের সৌন্দর্য্য। তিনি বলেন, কোভিডের সংক্রমণের কারণে গত দু’বছর বৃটিশ হাইকমিশনের উদ্যোগে সিলেটে ইফতার মাহফিল আয়োজন করা যায়নি। তিনি সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
অনাড়ম্বর এই ইফতার মাহফিলে ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশনের হেড অব পলিটিক্যাল এফেয়ার্স টম বাড, ডিফেন্স এডভাইজার এলান হিলটন, ডিরেক্টর অব কমিউনিকেন্স ফান্সিস ব্যাক, প্রেস এন্ড কমিনিউকেশন্স অফিসার নারায়ণ দেবনাথ, ডেপুটি ম্যানেজার (ডিআইটি) খালিদ জাফফার, প্রো-কাউন্সেল ফারহানা হক, বৃটিশ হাই কমিশনের কর্মকর্তা জিনাত আলম, মুনতাছির রহমান, ভাইস কনস্যুল রাহিন মঈন চৌধুরী, বৃটিশ কাউন্সিলের সিলেট অফিস প্রধান কফিল হোসাইন , ভিএফএস গ্লোবাল সার্ভিসের কর্মকর্তা মিস আবরিনা প্রমুখ।
স্থানীয় সুধীজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. মোশাররফ হোসেন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম ও জেদান আল মুসা, ডিরেক্টর ইমিগ্রেশন এজাজ আহমদ, সিলেট এয়ারপোর্ট ম্যানেজার হাফিজ আহমদ, সিলেট কারাগারের জেলার মুজিবুর রহমান, সিলেট জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সামছুল হক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, ব্লাস্ট, সিলেট-এর কো-অর্ডিনেটর ইরফানুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।