সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর বন্ধ পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিজিবির উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এক বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন। এক রাউন্ড গুলি চালিয়ে বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, শ্রীপুর পাথর কোয়ারি থেকে দীর্ঘদিন ধরে নানা পন্থায় পাথর তুলছিল একটি চক্র। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ৪৮ বিজিবির শ্রীপুর ক্যাম্প কামান্ডার সেলিম মিয়া আসামপাড়া আদর্শগ্রাম রাংপানি নদীর ঘাটসংলগ্ন এলাকার বিজিবি পোস্টে দায়িত্বরত অবস্থায় পাথর বহনকারী নৌকা আটক করেন।
এ নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা–কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। একপর্যায় বিজিবি সদস্যরা নৌকা না ছাড়লে শ্রমিকেরা বিজিবি পোস্টে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আত্মরক্ষার্থে এক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
শ্রমিকদের ছোড়া ঢিলে আহত হন শ্রীপুর বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার মো. সেলিম মিয়া। এদিকে শ্রমিকরা নৌকা নিয়ে চলে যায়৷ আহতদের দ্রুত সিলেটপ পাঠানো হয় ৷
পরে ক্যাম্প কমান্ডার আহত হওয়ার ঘটনায় সংবাদ দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে বিজিবি অতিরিক্ত ফোর্স বৃদ্ধি করে ৷ অপর দিকে পাথরখেকো চক্রের সদস্যরা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আদর্শগ্রাম এলাকায় সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে ৷
ঘটনার সংবাদ পেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশিরুল ইসলাম, ৪৮ বিজিবি কমান্ডিং অফিসার (সিও) শরিফ আহমদ আহমদ, জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ, স্থানীয় গন্যমান্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাস্তার অবরোধ তুলে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখেন ৷ ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে ৷
জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, হামলার ঘটনাটি অত্যান্ত নিনন্দনীয় কাজ ৷ তবে শ্রীপুর পাথর কোয়ারী স্থায়ী ভাবে বন্ধ ৷ এই কোয়ারী এলাকায় কিভাবে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে ৷ এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্তি বিজিবি ও পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে ৷
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিজিবির উপর হামলা হলে আত্মরক্ষার্থে তারা একটি গুলি করেন বলে জানিয়েছেন। তবে এতে কেউ আহত হন নি।
সিলেটসানডটকম - এলআরবি