২০২২-০৪-০৮ ১৩:৩৩:২৩ / Print
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা, পদোন্নতিসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন কলেজ শিক্ষক পরিষদ, সিলেটের নেতৃবৃন্দ। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন।
শুক্রবার বিকালে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা এ দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা জাতি গড়ার কাজ করি। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে বেসরকারি এমপিওভূক্ত শিক্ষকের সুযোগ সুবিধা আজও আকাশ-পাতাল ব্যবধান। বৈষম্য কমাতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করা হচ্ছে। অথচ সেই ২০০৩ সালের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য মূল বেতনের ২৫ ভাগ হারে এখনো উৎসব ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ১৯ বছরেও শতভাগ উৎসব ভাতা করা হয়নি, এখনো মাত্র এক হাজার টাকা বাসা ভাড়া পান শিক্ষকরা। যা দিয়ে একটি কুড়ে ঘরেও থাকা যায় না।
সংগঠনের সভাপতি জ্যোতিষ মজুমদার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চপর্যায়ের মাত্র ২ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি। বাকি ৯৮ ভাগ প্রতিষ্ঠান বেসরকারি। অথচ বৈষম্য প্রকট। সরকারি শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের মূল বেতনের পাশাপাশি ৪৫-৫০ভাগ বাড়ি ভাড়া, ১ হাজার ৫শ’ টাকা চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ হারে দু'টি উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা, বদলিসহ নানাবিধ সুবিধা পেয়ে থাকেন। অথচ ৯৮ভাগ শিক্ষার ভার যাদের উপর সেই এমপিওভূক্ত বেসরকারি শিক্ষকরা ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫শ’ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ২৫ ভাগ উৎসব ভাতা পান। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
জ্যোতিষ মজুমদার আরও জানান, সরকারি কলেজে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, অধ্যাপক পর্যন্ত পদোন্নতি থাকলেও এমপিওভুক্ত কলেজ শিক্ষকদের সারা জীবনে একটি মাত্র পদোন্নতি পান। তাও আবার সবার জুটছেনা। এমনকি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদ বাতিল করে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বদলি না থাকায় একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষককে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আজীবন একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা ছাড়া উপায় থাকেনা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা আগামী ঈদুল ফিতর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান, শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে পূর্ণাঙ্গ বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও পেনশন প্রদান, ইন্টারমিডিয়েট ও ডিগ্রি কলেজের সকল প্রভাষককে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি, বদলি প্রথা চালু ও শিক্ষায় সকল বৈষম্য দূর করতে চলতি বছরেই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, কলেজ শিক্ষক পরিষদ, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আনাম চৌধুরি, সহসভাপতি এমএ মতিন, কামরুজ্জামান চৌধুরী, সুমন কুমার চন্দ ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুক মিয়া। সিলেটসানডটকম-কিই্উসি