সিলেটের জৈন্তাপুরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত হয়েছেন।
মাওলানা সালেহ আহমদ (৫০)। তিনি মেজরটিলা তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক। হেমু গ্রামের বাসিন্দা।
সোমবার (৪ এপ্রিল) সকালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হাদপাড়া ও শ্যামপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও হাদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রফিক আহমদ ও শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা রশিদ আহমদের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এরই জেরে রোববার (৩ এপ্রিল) তারাবির নামাজের পর উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে রাত ১২টার দিকে হাদপাড়া ও শম্পারা গ্রামবাসী হরিপুর বাজারে সংঘর্ষে জড়ায়। সকাল পর্যন্ত থেমে থেমে চলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ। এ সময় আশপাশের গ্রাম থেকে মুরব্বি ও পুলিশ এসে সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করেন। সোমবার সকালে স্থানীয় মাদ্রাসার একদল আলেম দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে ঘটনাস্থলে যান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহতের এক স্বজন জানান, আলেমদের প্রতিনিধি দল যখন ঘটনাস্থলে যায় ঠিক তখন পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে সবাই এদিক সেদিক ছুটতে থাকে।
একপর্যায়ে সালেহ আহমদ মাটিতে পড়ে যান। তখন হাদপাড়া গ্রামের লোকজন সালেহ আহমদকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। পরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।সিলেট জেলা পুলিশের এএসপি (মিডিয়া) লুৎফুর রহমান সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া সিলেট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।