কপালে টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় এক শিক্ষককে কটূক্তিকারী পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম নাজমুল তারেক। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে এক কনস্টেবলকে শনাক্ত করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ওই শিক্ষক যে জিডি করেছেন, তারও যথাযথ তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া জানান, কনস্টেবল নাজমুল তারেক পুলিশের প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত।
এরআগে, টিপ পরায় পুলিশের হেনস্তার শিকার হওয়ার কথা জানিয়ে ঢাকার তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার শনিবার শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশের পোশাক পরা একজনের বিরুদ্ধে ‘ইভটিজিং’ এবং ‘প্রাণনাশের চেষ্টা’র অভিযোগ করা হয় ওই জিডিতে।
ড. লতা সমাদ্দার হেনস্তার ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে, চলছে প্রতিবাদ। ক্ষোভের প্রকাশ ঘটছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। বহু নারী-পুরুষ ফেসবুকে টিপ পরা ছবি দিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, 'টিপ পরা আমার স্বাধীনতা।'
শুধু ফেসবুক নয়, বিভিন্ন দল ও সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজন সভা-সমাবেশ ও বিবৃতি দিয়ে ড. লতা সমাদ্দারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছেন। রোববার সংসদে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। তিনি বলেন, নারীসমাজের জন্য এটি অত্যন্ত ঘৃণিত ঘটনা।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ বিবৃতি দিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে। 'নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ' সমাবেশ করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিচারে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়।
সিলেটসানডটকম-এবিসি