আলোচিত ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরির
সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালে ইউটিউব,ফেইসবুক-ওয়েভটিভিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) আবুল কাসেম এই নির্দেশ দেন। তাহেরীর আইনজীবী এটিএম ফয়েজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত (২৪ মার্চ) বালাগঞ্জের কয়েকজনসহ সিলেট, হবিগঞ্জ ও বি-বাড়িয়ার ১৫ জনের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন তাহেরী এই মামলা করেছিলেন।
অগ্রিম টাকা নিয়ে সিলেটের বালাগঞ্জে একটি মাহফিলে না আসার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
মামলার আসামিরা হলেন- সিলেটের বালাগঞ্জ পৈলনপুরের মইনুল ইসলাম, হাফিজ মুজিবুর রহমান, মসজিদের ইমাম ও খতিব ক্বারী জয়নাল আবেদীন,সিলেট অনলাইন টিভি নবীগঞ্জের রাজু আহমদ, ফেইসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নবীগঞ্জ সদরঘাটের শেখ শাহজাহান, ফেইসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী হবিগঞ্জ লাখাই মুড়াকুড়ির আব্দুল কুদ্দুছ নুরী, ফেইসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী তপু তরফদার, ফেইসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নিজাম আহমেদ আকরাম, ফেইসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নিজাম উদ্দিন সিদ্দীকি, একে মিডিয়া সিলেট, ফেইসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নবীগঞ্জের দেওপাড়া সাতাইল গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে হাফিজ কামরুল ইসলাম জালালি, ফেইসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারি বি-বাড়িয়া জেলার আখাউড়া তুলাই শিমুল গ্রামের শেখ রাসেল, ফেইসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী বি-বাড়িয়া চারগাছ গ্রামের আবদুল ফরহার ছেলে মোরশেদ শাহ, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার গুমগুমিয়া গ্রামের খালেদ আহমদের ছেলে এস.এ শামিম ও টিটিভি।
গিয়াস উদ্দিন বি-বাড়িয়া জেলার বি-বাড়িয়া সদর থানার চাপুইর গ্রামের মো. নাজিব উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তাঁর দায়েরকৃত মামলায় ৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
আদালতে মামলা দায়েরের পর গিয়াস উদ্দিন তাহেরি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ২২ মার্চ আমার নামে মিথ্যা প্রচার করে আমার সাথে যোগাযোগ না করে আমার মান ক্ষুণ্ন করার জন্য স্টেইজ সাজিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। তারা বলেছেন আমি নাকি দাওয়াত রেখে আসিনি। অথচ আমার সাথে কোন যোগাযোগ না করে আমার মান সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। আমি এসব প্রতারক ও দুষ্কৃতিকারীদের বিচারের জন্য সিলেটে এসে মহামান্য আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালত আমার আবেদনটি আমলে নিয়েছেন।'
সিলেটসানডটকম -এসএস