সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ সোনারপাড়া নবারুন আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন মো. মাহমুদ হোসেন রাসেল ও তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার জুহেলী (জুঁই)।
এলাকার লোকজন রাসেলকে মাছ ব্যবসায়ী হিসেবেই চিনেন। তবে চাল-চলনে মনে হয় না মাছ ব্যবসায়ী। স্বামী-স্ত্রী’র চালচলন বেশ পরিপাটি।
মাছ ব্যবসায়ের আড়ালে এই দম্পতি যে সিলেট নগরীতে ইয়াবা’র বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন তা ছিলো সবার অজানা। ৩৪ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা নিয়ে এক সহযোগীসহ মুন্না মিয়া র্যাবের হাতে আটকের পর তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে নগরীর মিরাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফারহানা আক্তার জুহেলী ও তার সহযোগী মুন্না মিয়াকে আটক করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৪ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা, ইয়াবা বিক্রি’র ৮৩ হাজার ৮৮৫ টাকা, ৫০ মার্কিন ডলার এবং ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে র্যাব।
আটককৃতরা হলো- সিলেট নগরীর সোনারপাড়া নবারুন এলাকার বাসিন্দা মাহমুদ হোসেন রাসেলের স্ত্রী ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পূর্ব বীরগাঁওয়ের মৃত আজিজুল হকের ছেলে মুন্না মিয়া। তবে অভিযানের টের পেয়ে নারী মাদক ব্যবসায়ী জুঁই’র স্বামী মাহমুদ রাসেল পালিয়ে যায়।
র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার সোমেন মজুমদার বলেন, সাধারণ ভাড়াটিয়ার বেশে মাহমুদ-জুয়েলী দম্পতি দীর্ঘদিন থেকে নগরীতে ইয়াবার কারবার করে আসছিল। তাদের সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করতো মুন্না মিয়া। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে নগরীর মিরাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুহেলী ও মুন্নাকে আটক করা হয়। উদ্ধার হওয়া ৩৪ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা’র বাজার মূল্য ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা।
সোমেন মজুমদার আরো বলেন, মাছ ব্যবসায়ের আড়ালে মাহমুদ হোসেন রাসেল সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে নগরীতে তার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইয়াবা বিক্রি করতো। জুহেলীর স্বামী মাহমুদ হোসেন রাসেলকে আটকের চেষ্টা চলছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে শাহপরান (রহ.) থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের পূর্বক জব্দকৃত আলামতসহ তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।