মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ইংরেজী, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা ENG

শিরোনাম : সুরমা টাওয়ারের ১৩ তলা থেকে পড়ে সিসিক কর্মচারীর মৃত্যু সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. খলিলুর রহমানের গণসংযোগ সিলেটে আজ থেকে শুরু হচ্ছে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ ইসি আনিছুর রহমান: নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ সহ্য করা হবে না ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর আহবান জানালেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ এপিবিএন সিলেট এর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্বোধন বাংলাদেশী কর্মীদের ভিসা সহজ করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু কোম্পানীগঞ্জে বাস সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২

সিএনজি পাম্পগুলোতে ১৯ ঘণ্টার পরিমাণে গ্যাস সরবরাহের আশ্বাস জেলা প্রশাসকের

সিলেট সান ডেস্ক ::

২০২২-০৩-২৪ ০১:৪০:১৫ /

সিলেটে জ্বালানি তেলের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও এখনও পুরোপুরি কাটেনি সংকট। এ অবস্থায় আবারও সিলেট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তেল-গ্যাস ব্যবসায়ী ও এর সঙ্গে জড়িত ৫টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বুধবার সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান সিলেটের তেল-গ্যাস ব্যবসায়ী ও এর সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের আশ্বাস প্রদান করেন- সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই সিলেটে বন্ধ থাকা জ্বালানি তেল শোধনাগারগুলো ফের চালু করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

এছাড়াও সিলেটে সিএনজি পাম্পগুলোতে ১৯ ঘণ্টার পরিমাণে গ্যাস সরবরাহের দাবি পূরণের আশ্বাস প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক। বৈঠকে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস্ এন্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি,

বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি, বাংলাদেশ এলপিজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি এবং সিলেট বিভাগীয় ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিলেট বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প সিএনজি এলপিজি, ট্যাংক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে চলমান জ্বালানি তেলের সংকট দূর করার দাবিতে গত কয়েক মাস ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছি।

এরই ধরাবাহিকতায় গত ৯ মার্চ আমরা সিলেটের কয়েক শ ট্যাংক-লরি নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছি। এরপরে ট্রেনের ওয়াগন বাড়িয়ে সিলেটে কিছুটা জ্বালানি তেলের সরবরাহ বাড়ানো হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এর পুরোপুরি সমাধান করতে হলে সিলেটের বন্ধ থাকা শোধনাগারগুলো ফের চালু করতে হবে। বিষয়টি আমরা বৈঠকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরি।

তিনি বলেন, বৈঠকে জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাদের সমস্যাগুলো গুরুত্বসহকারে শুনেছেন এবং বিস্তারিত জেনেছেন। পরে তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সেই শোধনাগারগুলো দ্রুত চালু করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেছেন।

জুবায়ের আহমদ চৌধুরী আরও বলেন, সিএনজি পাম্পগুলোতে ১৯ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ চালু থাকার কথা। কিন্তু সিলেটের পাম্পগুলোতে ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ রাখা হয়। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবির মুখে জেলা প্রশাসক সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১৯ ঘণ্টাই গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার আশ্বাস প্রদান করেছেন।

উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক তেল-গ্যাসে ভরপুর সিলেটে চলছে জ্বালানি তেলের সংকট। সে সংকট প্রায়ই তীব্র হয়ে ওঠে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে সিলেটে।

এর মধ্যে বর্তমানে চাহিদার বিপরীতে গড়ে মাত্র ৩ থেকে সোয়া ৩ লাখ লিটার সরবরাহ করা হচ্ছে। সিলেটের চারটি ডিপোর মধ্যে ভাগাভাগি করে এসব তেল দেয়া হচ্ছে। কোনো কোম্পানিই গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিশোধনাগার বন্ধ থাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল না আসায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আগে সিলেটের গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত উপজাত দিয়ে স্থানীয় শোধনাগারগুলোর মাধ্যমে পেট্রোল ও অকটেন উৎপাদন করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠানো হতো। কিন্তু প্রায় দুই বছর আগে বিএসটিআইর মানসম্পন্ন জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না- এমন অজুহাত দেখিয়ে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সিলেটের ছয়টি শোধনাগার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ছয়টি শোধনাগারের মধ্যে স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত কনডেনসেট দিয়ে প্রতিদিন গোলাপগঞ্জের রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড-আরপিজিসিএলের দুটি প্ল্যান্ট থেকে ৮০০ ও ৫০০ ব্যারেল, সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের আওতাধীন হরিপুরে ৬০ ব্যারেল, কৈলাসটিলায় ৩০০ ব্যারেল এবং রশিদপুরের দুটি প্ল্যান্টে যথাক্রমে ৩ হাজার ৭৫০ ও ৪ হাজার ব্যারেল পেট্রোল, ডিজেল ও এলপিজি উৎপাদন হতো।

সিলেটের শোধনাগারগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পর গ্যাসক্ষেত্র থেকে উপজাত হিসেবে পাওয়া কনডেনসেটগুলো চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি শোধনাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে পরিশোধিত হয়ে রেলের ওয়াগনে করে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন ও কেরোসিন সিলেটে এনে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা এ তিনটি কোম্পানির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।

সিলেটের শোধনাগারগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরই দেখা দেয় জ্বালানি সংকট। যে সংকট এখনও চলমান। তবে এবার সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক আশ্বাস দিয়েছেন বন্ধ থাকা শোধনাগারগুলো চালুর। সেই আশ্বাসে আপাতত সংশ্লিষ্টরা থেমে রয়েছেন মাঠের আন্দোলন থেকে। সিলেটসানডটকম -এবিসি

এ জাতীয় আরো খবর

সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. খলিলুর রহমানের গণসংযোগ

সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. খলিলুর রহমানের গণসংযোগ

সিলেটে আজ থেকে শুরু হচ্ছে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ

সিলেটে আজ থেকে শুরু হচ্ছে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ

এপিবিএন সিলেট এর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্বোধন

এপিবিএন সিলেট এর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্বোধন

 বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করতে আগ্রহী লাফার্জহোলসিম

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করতে আগ্রহী লাফার্জহোলসিম

ওসমানীতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

ওসমানীতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে স্মারকলিপি ও দোয়া মাহফিল  করেছ সিলেট জেলা বিএনপি

ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে স্মারকলিপি ও দোয়া মাহফিল করেছ সিলেট জেলা বিএনপি