জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মরণে প্রবর্তিত ‘পল্লীবন্ধু পদক’ পেয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কৃষি ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহসহ আট বিশিষ্ট ব্যক্তি।
রোববার এরশাদের ৯২তম জন্মদিনে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে তাদের হাতে পদক তুলে দেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
সাহিত্যে প্রয়াত কবি ফজল সাহাবুদ্দিনের মেয়ে দিনা সাহাবুদ্দিন, প্রয়াত গায়ক এন্ড্রু কিশোরের স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু ইতি, গ্রামীণ উন্নয়নে প্রয়াত নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনাবিদ কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের মেয়ে আরিফা কবির এবং শিল্পপতি আবদুল ওয়াহেদ বাবুলের পক্ষে তার ভাই এমএ রহিম পদক গ্রহণ করেন।
ক্রীড়ায় গোলাম সরোয়ার টিপু ‘পল্লীবন্ধু’ পদক পেয়েছেন। পদক জয়ীদের ক্রেস্ট ছাড়াও উত্তরীয় ও এক লাখ টাকা সম্মানী দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে এরশাদের জীবনী পাঠ করেন তার ভগ্নিপতি হাবিবুর রহমান। জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এরশাদ রাজনীতিতে আসার পর যখন যেখানে হাত দিয়েছেন, সেখানেই নৈপুণ্যের ছাপ রেখেছেন।
তার ক্ষমতাগ্রহণ যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক না কেন, এরশাদের শাসনামল যে সুশাসন, উন্নয়ন ও সম্মৃদ্ধির যুগ ছিল তা আজ সর্বজন স্বীকৃত।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এরশাদ আপদমস্তক ভদ্রলোক ও বুদ্ধিমান ছিলেন। তার আমলে কেউ না খেয়ে থাকেনি। এরশাদ পরিবার পরিকল্পনায় জোর না দিলে জনসংখ্যা ৩০ কোটি হত।
টিসিবির ট্রাকের সামনে মিছিল জাতিকে ভিখারিতে পরিণত করেছে। মঞ্জুর হত্যা না হলে এরশাদ জাতিকে আরও অনেক কিছু দিতে পারতেন।
সিলেটসানডটকম-এবিসি