সিলেট-৬ আসনের দুইবারের নির্বাচিত সাবেক এমপি ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া। এলাকায় গড়ে তুলেছেন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। করেছেন রাস্তাঘাট। গ্রামের লোকজনের জন্য ছিল তার আলাদা টান। বিভিন্ন উৎসবে তার কাছে ছুটে যেতেন গ্রামের সহজ সরল মানুষ।
টাকার অভাবে কারো বিয়ে হচ্ছে না। সন্তানের চিকিৎসার খরচ এগুলো অনেকটা নিজের মনে করেই করে দিতেন তিনি। ঢাকায় আলীশান বাড়িতে গিয়ে থাকতেন গ্রামের লোকজন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই গ্রামের লোকজনের খবর নিতেন তিনি। এ কারনে অনেকের প্রিয়পাত্র ছিলেন তিনি। বেলা অবেলায় ফোন দিতেন গ্রামের লোকজনকে।
অথচ শেষবারের মত প্রিয় এই ব্যক্তি ও লাশ দেখতে পারলনা গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ। মরদেহ এলাকায় না এনে বৃহস্পতিবার ঢাকার টঙ্গীতে অবস্থিত তার শিল্প প্রতিষ্টান ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিঃ প্রাঙ্গনে প্রথম ও বনানীতে দ্বিতীয় জানাজার পর বনানী কবরস্থানে লাশ সমাহিত করা হয়। তাকে একনজর দেখতে না পেরে মনোকষ্ট রয়ে গেছে এলাকার লোকজনের।
জানা যায়, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার রাতে চিকিৎসাদীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত্যুর বিষয়টি ফেইসবুকে ভাইরাল হলে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারসহ গোটা সিলেটে নেমে আসে শোকের ছায়া। তাকে দেখতে অনেকেই ছুটে যান ঢাকায়।
বৃহস্পতিবার টঙ্গিতে অবস্থিত ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিঃ কোম্পানীতে তার প্রথম জানাজার্ অনুষ্টিত হয়। পরে বনানীতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
দাফনের বিষয়টি তার ঘনিষ্ট রুহেল আহমদ নশ্চত করেছেন।
তিনি জানান, বিকেলে টঙ্গী ও বনানীতে দুই দফা জানাজার পর ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে শেবারের মত প্রিয় নেতা ড. মকবুল হোসেন লেচু মিয়ার লাশ দেখতে না পেরে হতাশ হয়েছে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবারের মানুষ। তাদের্প্র। প্রয়াত মকবুল হোসেন লেচু মিয়া সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার আসনের সাবেক দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া ঢাকার টঙ্গিতে অবস্থিত ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিঃ সহ বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্টান গড়ে তোলা ছাড়াও গোলাপগঞ্জে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেন তিনি।
এছাড়া তিনি ১৯৮৬ ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ গোলাপগঞ্জ-বয়ানীবাজার আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরোধিতা করে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
২০০১ সালে তিনি বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্যক আত্মীয়স্বজনসহ ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন সাবেক এমপি ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া।
সিলেটসানডটকম-এবিসি