গোলাপগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী খাসিখাল দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের খরস্রোতা এ খালটি কচুরিপনা আর ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে পানি প্রবাহ একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে খালটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার পৌর সদরের পাশেই অবস্থিত খাসিখালের অবস্থান। এক সময়ে খরস্রোতা এ খাল দিয়ে ডিঙ্গি নৌকা চলাচল করত প্রতিনিয়ত। দুর দুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা নৌকা দিয়ে মালামাল নিয়ে আসতেন গোলাপগঞ্জ সদরে।
তারা মালামাল পরিবহন করতেন ডিঙ্গি নৌকায়। এছাড়া স্থানীয় লোকজন এ খালে সৌখিন লোকজন ’পলো বাওয়া উৎসব’ পালন করতেন। শুধু টিকরবাড়ী গ্রামের লোকজনই নয় পার্শবর্তী রণকেলী, ঘোষগাও সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন আসছেন মাছ ধরতে।
এতে শত শত লোকজন অংশ নিতেন। এখন কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে সেই ঐতিহ্য। এখন পলো বেয়ে মাছ ধরা দুরে থাক- খালের পাশেই যায়না লোকজন।
স্থানীয় বাসা বাড়ীর লোকজন ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে ও কচুরিপনার গন্ধে অতিষ্ট লোকজন। দীর্ঘদিন থেকে খালটি ভরাট হয়ে গেলেও নাব্যতা ফেরাতে তা খননের কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছেনা রহস্যজনক কারণে। বর্তমানে পুরো খালটি একবারে ভরাট হয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে।
খালে পানি প্রবাহ বন্ধ থাকার ফলে স্থানীয় কৃষকরা পড়েছেন বেকায়দায়। তারা খাল থেকে সেচ দিয়ে পানি দিতে পারছেন না। এদিকে খালটি খনন করে নাব্যতা ফেরানোর দাবি স্থানীয় পরিবেশবাদীদের।
এনিয়ে অনেক সভা-সমাবেষ হয়েছে এলাকায়। সম্প্রতি সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড খাসিখালসহ উপজেলার ৬টি খাল খনন করে নাব্যতা ফেরাতে ঢাকায় একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। কিন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বর্তমানে এ খালটি যেন মরা খালে পরিণত হয়েছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
সিলেটসানডটকম-সিবিসি