২০২২-০২-২৬ ০০:০০:২১ / Print
গত বছরের ৩১ মে বিয়ানীবাজার থানাধীন চারাখাই এলাকা হতে ২ টি মোটরসাইকেল অজ্ঞাতনামা চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হলে মামলাটি তদন্তের জন্য এস আই মোস্তাক আহমদ কে নিয়োজিত করা হয়।
চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম বিভিন্ন দিক-নিদের্শনা প্রদান করেন এবং জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ এর তত্ত্বাবধানে সংঘবদ্ধ মোটর সাইকেল চোরদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত থাকে।
এ ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সিলেট জেলা এলাকার বিভিন্ন থানায় বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের সাড়াশি অভিযান অব্যাহত ছিল। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য গোলাপগঞ্জ থানাধীন উত্তর কানিশাইল এর মৃত আব্দুস শুক্কুর এর পুত্র রুবেল আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
সে তার সহযোগী চোরদের নাম প্রকাশ করলে ২৪ ফেব্রুয়ারী রাতে রুবেল আহমদ এর সহযোগী মোটর সাইকেল চোর চক্রের সদস্য- সাজ্জাদুল ইসলাম শাহী, পিতা- শানুর মিয়া, সাং-উত্তর কানিশাইল, আব্দুল আহাদ, পিতা- আঃ লতিফ,সাং-বাঘা, উভয় থানা- গোলাপগঞ্জ জেলা-সিলেটদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের দেয়া তথ্য মতে জয়নাল মিয়া শিপন, পিতা- লিলু মিয়া, হাসানুর রহমান হাসান, পিতা-রফিক মিয়া, উভয় সাং-গোয়ালগাও, থানা-দক্ষিণ সুরমা, থানা- মোগলাবাজার, এসএমপি, সিলেটদের আটক করে তাদের হেফাজত হতে বিশ্বনাথ হতে একটি ডিসকভার মোটর সাইকেল এবং দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকা হতে একটি হোন্ডা মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের পুলিশ প্রহরায় আদালতে সোপর্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলার মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. লুৎফর রহমান বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে জেলা পুলিশের সকল থানাকে সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের পক্ষ হতে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত থাকলে তাদের ও আইনের আওত্তায় নিয়ে আসা হবে।
সিলেটসানডটকম/এসএ