আজারবাইজানে দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়েছেন বাকু বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়া ফেরদৌসী (৩০)। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আজারবাইজানের স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থী রিয়া রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা সদরের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের আবু বক্করের মেয়ে।
পরিবারের দাবি, সেখানকার পুলিশ হত্যার বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করছে। তবে কি কারণে বা কারা রিয়াকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি তার পরিবারের লোকজন। এদিকে আজারবাইজানে বাংলাদেশি কনস্যুলেট না থাকায় ইরানের অবস্থিত বাংলাদেশের কনস্যুলেটের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কূটনৈতিকভাবে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নিহত রিয়ার ভাই ফরমান আলী বলেন, রিয়া ঢাকার একটি কলেজ থেকে কয়েক বছর আগে অনার্স শেষ করে ‘ল’ পড়তে গত বছর আজারবাইজানের বাকু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। লেখাপড়ার পাশাপাশি সেখানকার একটি রেস্টুরেন্টে খণ্ডকালীন চাকরি নেন তিনি। সেখানকার লোকের মাধ্যমে শুনেছি, ওই রেস্টুরেন্টে যাতায়াতের সময় স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করতো। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় গত বুধবার সকালে দিকে ওই বখাটে যুবকেরা রিয়াকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তার হাত-পা ভাঙা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে কীভাবে, কারা এবং কি কারণে রিয়াকে হত্যা করেছে তা পরিবারের সদস্যরা বলতে পারছেন না।
রিয়ার বাবা আবু বক্কর বলেন, অনেক কষ্টে আমাদের সংসার চলে। ছোট থেকেই মেয়েটার একটা স্বপ্ন ছিল, সে ব্যারিস্টার হবে। আর আমাদের সকল কষ্ট দূর করবে। এখনতো সব শেষ।
তিনি আরও বলেন, আমি গরিব মানুষ। খুনিকে শনাক্ত করা বা বিচার পাওয়ার কোনো আশা নেই। তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাই, অন্তত মেয়ের লাশটা যেন দেশে এনে আমাদের কাছে পৌঁছে দেন।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এখানকার একটি মেয়ে বিদেশে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এমন কথা শুনেছি। তবে এখনো পর্যন্ত প্রশাসনিকভাবে লিখিত কোনো তথ্য বা ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ আমাদের কিছুই জানায়নি।