২০২২-০২-২৩ ০৪:১০:৫৯ / Print
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে দুই মামলায় আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঘুষ লেনদেনের মামলায় পৃথক দুটি ধারায় তথ্যপাচারে দায়ে পাঁচ বছর ও ঘুষ লেনদেনের অপরাধে তিন বছরসহ মোট আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে তাকে ৮০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় ঘুষ দেওয়ার অপরাধে বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম। এর আগে মিজানুর রহমানকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এবং এনামুল বাছিরকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টার পর তাদের আদালতের কাঠগড়ায় আনা হয়।
সোয়া ১১টায় রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। এরই মধ্যে আড়াই বছর জেলে কাটানোয় মিজানুর রহমানকে আর ছয় মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আর একই সঙ্গে দুই মামলায় দণ্ডাদেশ পাওয়ায় এনামুল বাছিরকে মোট পাঁচ বছর জেলে থাকতে হবে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক আজ রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন। বাছিরের পক্ষে তার আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান ওই দিন আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। মিজানুরের পক্ষে যুক্তি দেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
দুদক ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম গত ১০ ফেব্রুয়ারি আজ রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন। বাছিরের পক্ষে তার আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান এদিন আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন।
মিজানুরের পক্ষে যুক্তি দেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
একই বছরের ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। '
সিলেটসানডটকম-এবিসি