ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল ফার্টিলাইজার সার কারখানার একটি প্রকল্পের ১৩ কোটি ৬৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১১টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রকল্পের বরখাস্ত হওয়া সাবেক দুজন কর্মকর্তা ও চারজন ঠিকাদার রয়েছেন।
দুদক সিলেট জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নূর-ই-আলম বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি ও বিল ভাউচার ছাড়াই প্রকল্পের ১৩ কোটি ৬৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলা করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মেসার্স ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক মো. জমশেদুর রহমান খন্দকার (৩৫), শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের বরখাস্ত হওয়া সহকারী প্রধান হিসাবরক্ষক ও হিসাব বিভাগের প্রধান খোন্দকার মুহাম্মদ ইকবাল (৪২), প্রকল্পের বরখাস্ত হওয়া রসায়নবিদ নেছার উদ্দিন আহমদ (৬১), মেসার্স নুসরাত ট্রেডার্সের পরিচালক হালিমা আক্তার (৪০), সানশাইন আইটি সলিউশনের পরিচালক মাসুদ রানা (৩৬) এবং মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ এর পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন (৪২)।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে খোন্দকার মুহাম্মদ ইকবালকে ১১টি মামলায়, তাঁর স্ত্রী হালিমা আক্তারকে তিনটি মামলায়, মো. জমশেদুর রহমান খন্দকারকে দুটি মামলায়, নেছার উদ্দিন আহমদকে দুটি মামলায়, মাসুদ রানাকে একটি মামলায় এবং মো. হেলাল উদ্দিনকে একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে।
দুদক সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নূর-ই-আলম বলেন, দীর্ঘ তদন্তের পর জালিয়াতি ও আত্মসাতের অভিযোগ রেকর্ডপত্র ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হওয়ায় ৬ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়েছে। মামলার এজাহার বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আরও তদন্ত করে দুর্নীতি ও আত্মসাতের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাঁদের আসামি করা হবে।
এর আগে গত ৩ আগস্ট প্রকল্পের ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৫টি মামলা করেছিল দুদক।