২০২২-০২-১৩ ১২:০৩:০১ / Print
নির্মাণ সামগ্রীর মুল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে সিলেটের এলজিইডির ঠিকাদাররা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
রোববার সিলেটের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন। এসময় তারা উন্নয়ন কাজের গতি ঠিক রাখতে নির্মাণ সামগ্রীর বর্তমান বাজারমুল্য ও পরিবহন ব্যয় চলমান কাজের চুক্তি মুল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে সম্পাদিত কাজের বিল প্রদান ও অনতি বিলম্বে নতুন রেইট সিডিউল প্রণয়নেরও দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, এলজিইডি কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনের সভাপতি রাখাল দে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এয়ায়েত আহমদ মনি ও উপদেষ্টা অহিদুল ইসলাম তোফাসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে শামীম আহমদ বলেন, সরকারের উন্নয়ন বাজেটের বড় অংশ এলজিইডি কর্তৃক ছোট ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীন অবকাঠামোর উন্নয়নে ব্যায় হয়। আর ঠিকাদারদের দিয়েই এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঠিকাদাররা নানা সমস্যার মধ্যে পড়ে হতাশায় ভুগছেন।
অথচ এই ঠিকাদাররা সহযোগি হিসেবে এসব উন্নয়ন প্রকল্প ত্বরান্বিত করছেন। তিনি বলেন, করোনাকালে কর্মরত শ্রমিকদের প্রনোদনা প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় ঠিকাদাররাই শ্রমিকদের ভুর্তকি প্রদান করে ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে কাজ বাস্তবায়ন করেছেন।
করোনা থেকে উত্তোরণের পর আশায় বুধ বেধে যখন ঠিকাদাররা কাজ শুরু করেন তখন উন্নয়ন কাজের প্রধান উপকরণ রড, সিমেন্ট, ইট, পাথর, বিটুমিন, বৈদ্যুতিক ও স্যানেটারী পণ্যের মুল্য এবং জ্বালানি তেলে মুল্য বেড়ে যায়। এতে দেখা গেছে; অনেক প্রকল্পেই ব্যায় ২৫ থেকে ৫৫ ভাগ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
এই অবস্থায় চলমান প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা দুরূহ ও অসম্ভব হয়ে পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধির কারনে স্বল্প পুজি বিনিয়োগকারী ছোটখাটো শ’শ ঠিকাদার সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতি ও ধার-দেনা পরিশোধে ব্যর্থতার দায়ে দেউলিয়া হওয়ায় আশ্কংায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
এতে করে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রমে স্থবিরতার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় স্বল্প পুজির ঠিকাদারদের আর্থিক বিপর্যয় থেকে উত্তোরনের জন্য নির্মাণ সামগ্রীর বর্তমান বাজার মুল্য ও পরিবহন ব্যায় চলমান কাজের চুক্তিমুল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে সম্পাদিত কাজের বিল প্রদান ও নতুন রেইট সিডিউল প্রনয়নের দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, নির্মাণ কাজের অন্যতম প্রধান উপাদান পাথর বর্তমানে সম্পূর্ণ আমদানী নির্ভর।
সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে- বিভিন্ন স্থলবন্দরে পাথর আমদানী বন্ধ হলেও পর্যাপ্ত মজুদ ছিলো। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ীরা মুল্য বৃদ্ধি করে ঠিকাদারদের অধিক মুল্যে পাথর ক্রয় করতে বাধ্য করেন।
যা নিতান্তই অমানবিক ও দুরভিসন্ধিমুলক। এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতি অনুরোধ জানান ঠিকাদার নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- এলজিইডি কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, সিলেটের সহ সভাপতি ফারুক আহমদ, ইসমাইল আলী আশিক, আবুল কালাম, নাসির উদ্দিন, যুগ্ন সম্পাদক লুৎফুর রহমান, মিজানুর রহমান, হাসান আহমদ,
সুমন আহমদ, জহির উদ্দিন তুহেল, অর্থ সম্পাদক রিপন আহমদ, দপ্তর সম্পাদক শাকিল আহমদ, প্রচার সম্পাদক ওমর ফারুক ফরহাদ, উপদেষ্টা শিবব্রত ভৌমিক চন্দন, অহিদুল ইসলাম তোফা, আব্দুর রহমান জামিল ও তৈয়বুর রহমান প্রমুখ।
সিলেটসানডটকম_বিবিসি