২০২২-০২-১০ ১১:২২:৩৫ / Print
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পারাইচকে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামের জায়গা পরিদর্শন করেছেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে দক্ষিণ সুরমার পারাইচকে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামের জন্য নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করেন নেতৃবৃন্দ।
পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, আগে সিলেটে একটি বিভাগীয় স্টেডিয়াম ছিল লাকাতুড়ায়। যেটি আইসিসি ওয়াল্ড কাপকে সামনে রেখে ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে নির্মাণ করা হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের সিলেটে বিভাগীয় কোনো স্টেডিয়াম নেই।
তিনি বলেন, আজ থেকে ৬-৭ বছর আগেও বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজিসহ বিভিন্ন প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে এই জায়গাটা প্রস্তাব করি। তারপর সেটা নিয়ে কিছু অগ্রসর হয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন জটিলতার জন্য তা আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়নি।
তিনি আর বলেন, এবার বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার একটি সভায় আলোচনা হয়। নতুন বিভাগীয় কমিশনার ও এই আসনের সংসদ সদস্যসহ আমাদের সকলের ঐকান্তিক আগ্রহ বিভিন্ন কারণে আমরা এই জায়গাটি বিভাগীয় স্টেডিয়ামের জন্য পছন্দ করেছি। আমরা মনে করি সরকার যদি এই জায়গাটি আমাদের বিভাগীয় স্টেডিয়ামের জন্য নির্ধারণ করে দেন। তাহলে বিভাগীয় স্টেডিয়ামটিও সিলেটে হলো আর সকলের যাতায়াত সুবিধা হবে।
নাদেল বলেন, যেহেতু জায়গাটি সরকারি তাই আলাদা করে ক্রীড়া মন্ত্রণালযের ব্যায় করতে হবে না। জায়গাটা নিচু সুরমা নদীর পাশে রয়েছে। নদী থেকে ড্রেজিং করে আমরা এই জায়গাটি ভরাট করে মাঠের উপযোগ করতে সহজ হবে এবং তা অল্প ব্যয়ে সম্ভব হবে আমাদের বিশ্বাস।
এসময় সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমাদের দক্ষিণ সুরমাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পুর্ণাঙ্গ স্টেডিয়ামের। তাই আমি নির্বাচিত হওয়ার আগেও আমার দাবি ছিল দক্ষিণ সুরমায় দুই-তিনটি পুর্ণাঙ্গ স্টেডিয়ামের প্রয়োজন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নামে একটি অনুমোদন দিয়েছেন।সেটির কাজ আমরা আশা করি এ বছরের মধ্যে শুরু করতে পারবো।
তিনি বলেন, এই বিভাগীয় স্টেডিয়াম আমরা যদি এখানে করতে পারি। তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে আমরা নির্বাচনী এলাকার মানুষ। এই উপজেলার তরুণদের আসলেও যাওয়ার জায়গা নেই।
তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। যেহেতু তাদের বিনোদন এবং খেলাধূলার ব্যবস্থা নেই। আমি মনে করি, স্টেডিয়ামটি হলে দক্ষিণ সুরমাবাসী সবচেয়ে বেশি ও বৃহত্তর সিলেটবাসী লাভবান হবে। কারণ ঢাকা-সিলেট ৬ লেনের যে রাস্তাটি এই রাস্তাটি পীর হাবিবুর রহমান চত্বরের যুক্ত হবে। ফলে সিলেটের সবকটি জেলার মানুষ এখানে আসার সুযোগ পাবে।
এসময় সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, জেলা পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান মতি, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সাইফুল আলম, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটসানডটকম-কেএফসি