২০২২-০১-৩০ ০৮:২৮:২৭ / Print
চলতি মাসে সপ্তমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৭ সালের পর পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়।
মাঝারি সীমার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়ার পর দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় ওঠে। পরে সেটি জাপান সাগরে গিয়ে পড়ে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা করেছে। খবর বিবিসি অনলাইনের।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০১৭ সালের পর পরীক্ষা চালানো সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার। উত্তর কোরিয়ার ওপর ব্যালিস্টিক ও পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া দেশটির ওপর সংস্থাটি কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে।
যদিও পূর্ব এশিয়ার দেশটি নিয়মিতভাবে ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আসছে। শুধু তাই নয়, দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উন সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটির ধারাবাহিক এই পরীক্ষার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। এর মধ্যে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক শক্তির প্রতি রাজনৈতিক ইঙ্গিতসহ যুক্তরাষ্ট্রকে দীর্ঘদিন স্থবির থাকা পরমাণু আলোচনায় ফিরিয়ে আনা এবং দেশের সামরিক কমান্ড সিস্টেমে নতুন প্রকৌশল পরীক্ষার ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এদিকে খুব শিগগিরই চীনে শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হতে যাচ্ছে। আর মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময়টাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে দেওয়া অবরোধ, মহামারি সংক্রান্ত সংকট এবং দশকব্যাপী চলা অব্যবস্থাপনার কারণে অর্থনৈতি দুরাবস্থা মোকাবিলা করতে হচ্ছে দেশটিকে। এসব কারণে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বেড়েছে।
সিলেটসানডটকম-এমকেইউ