২০২২-০১-৩০ ০১:৫৮:০০ / Print
কঙ্গোতে জাতিসংঘের দুইজন বিশেষজ্ঞকে অপহরণের পর হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে ৫১ জন `~ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০১৭ সালে দেশটির কাসাই অঞ্চলে সুইডিস নাগরিক জাইদা কাতালান এবং আমেরিকান মিশেল শার্প অপহণ ও হত্যার শিকার হয়েছিলেন।
খবর বিবিসির আফ্রিকান দেশটির সরকারি বাহিনী এবং একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর সেখানে তারা গণকবরের অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়েছিলেন। এসময় তাদের দোভাষী বেতু তিসিন্তেলাকেও হত্যা করা হয়েছিল।
তাদের সবার মরদেহ পাওয়া যায় অপহরণের ১৬ দিন পর। এরমধ্যে জাইদা কাতালানের মাথা বিচ্ছিন্ন করা ছিল। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের সর্বোচ্চ চেষ্টার প্রতিশ্রুতিও দেন।
২০১৭ সালে কাসাই অঞ্চলে সংঘাতে শতাধিক লোক নিহত হন। এর আগের বছর ২০১৬ সালের আগস্টে সেখানকার একজন জনপ্রিয় নেতা কামভিনা সাপু নিহত হওয়ার পর এ সংঘাত শুরু হয়। সেই সংঘাতে ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তচ্যুতও হয়েছিলেন।
চার বছরের বিচার প্রক্রিয়া শেষে কঙ্গোর একটি সামরিক আদালত এ দণ্ড দেন। বেশ কয়েক ডজন আসামির মধ্যে ৫১ জনকে, যাদের প্রায় সবাই মিলিশিয়া সদস্য, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তবে কঙ্গোতে মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ আছে। তাই তাদের সাজা আমৃত্যু কারাদণ্ড হতে পারে।
সিলেটসানডটকম ল_এমআরএম