জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট বলেছেন, মিয়ানমারে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং পদ্ধতিগত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য জরুরিভিত্তিতে কার্যক্রম শুরু করার সময় এখনই।
দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রায় এক বছর হতে চলল। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন প্রধান বলেন, দেশটির নাগরিকরা এ সময়ের মধ্যে জীবন ও স্বাধীনতা হারানোর ক্ষেত্রে চড়া মূল্য দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
অভ্যুত্থান ও এর পরে জান্তা সরকারের সহিংসতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। কিন্তু ব্যাচেলেট এ প্রক্রিয়াকে ‘অকার্যকর’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, সংকটের মাত্রা অনুযায়ী এর গুরুত্ব যথাযথভাবে উপলব্ধি করা যায়নি।
চিলির সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশসনস দেশটিতে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সহজতর করতে জান্তা সরকারের নেতাদের বোঝানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি।
দেশটির নাগরিকদের ওপর চলমান সহিংসতা বন্ধ ও দ্রুত সেখানে জনতার শাসন প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব নেতারা যেন জান্তা সরকারের ওপর চাপ দেন— সে আহ্বানও জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন প্রধান ।
তিনি জানান, মিয়ানমারে নাগরিক স্বাধীনতার জন্য কাজ করা ব্যক্তিদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তাদের যেন পরিত্যাগ করা না হয়— তারা সে অনুরোধ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি।
‘আমি ওই অঞ্চল, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করছি—তাদের এ আবেদন শোনার জন্য’, বলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন প্রধান।
বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চিসহ জান্তা বিরোধী অসংখ্য রাজনীতিবিদকে
সিলেটসানডটকম -এমকেইউ