২০২২-০১-২৭ ০৯:৩৫:২৬ / Print
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্তদের কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গের আশঙ্কা ২ থেকে ৩ গুণ বেশি বলে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআরের এক গবেষণায়।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন না তাদের কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার হার নিয়মিত ওষুধ সেবনকারীদের চেয়ে ৯ গুণ বেশি।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই হার ৭ গুণ বেশি।
আইইডিসিআর বলছে, উপসর্গযুক্ত কোভিড-১৯ রোগীদের উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৩ মাস, ৬ মাস, ৯ মাস ও ১২ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর যথাক্রমে ৭৮ শতাংশ, ৭০ শতাংশ, ৬৮ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশের দেহে কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গ দেখা গেছে।
গত বুধবার থেকে ঢাকায় শুরু হওয়া প্রথম জাতীয় অসংক্রামক রোগ সম্মেলনের প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ কয়েকটি রোগ দেশের ৭০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী। তারা বলছে, ৩০ থেকে ৭০ বছর বয়সীরা অসংক্রামক রোগে বেশি মারা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস আছে- এমন তিনজনের একজন মানুষ জানে না, তিনি কিডনি রোগে ভুগছেন। দেশে ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জনই জানে না তাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে। আবার যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের অর্ধেকের বেশি জানেন না রোগটি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আক্রান্তদের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৭৭ জন ওষুধ খাচ্ছে, কিন্তু তাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই।
আইইডিসিআর বলছে, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমাতে নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন করা জরুরি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর পর থেকে আইইডিসিআর রোগতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, মহামারি তদন্ত ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসির সহযোগিতায় ও আইডিসিআরের পরিচালনায় ফিল্ড এপিডেমিওলজি ট্রেনিং প্রোগ্রাম-বাংলাদেশ এফইটিপি-বি’র প্রশিক্ষণ নিতে আসা শিক্ষার্থীরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রাথমিক উপসর্গ পরবর্তী জটিলতা নিয়ে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সিলেটসানডটকম/এমকেইউ