২০২২-০১-২১ ০৪:৪৪:৩২ / Print
তবে শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ নেতাদের জানিয়েছেন, একমাত্র উপাচার্যের পদত্যাগই এই সঙ্কট সমাধান করতে পারে। উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া আর কোনো সমঝোতার চেষ্টাই তারা মানবেন না।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, হয় উপাচার্যের পদত্যাগ করবেন না হলে আমাদের মৃত্যু হবে। উপাচার্যকে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে যেতে হবে।
এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার প্রস্তাকব দিয়েছে। তিনি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের সাথেও ফোনে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক।
নাদেল জানান, শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার আগ্রহ প্রকা্শ করেছেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা, শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনা করতে তাদের আপত্তি নেই। তবে উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পদত্যাগের ঘোষণা ছাড়া উপাচার্যের সাথেও কোনো কথা বলতে চান না বলে জানিয়েছন তারা।
শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার পরই আওয়ামী লীগ নেতারা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের বাসবভনে তার সাথে আলাপের জন্য যান।
এসময় শফিউল আলেম নাদেল সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, এভাবে অচলাবস্থা দীর্ঘদিন চলতে পারে না। আমাদের সন্তানদের এই কষ্ট আমরা মেনে নিতে পারছি না।
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা নিয়ে এখানে এসেছি। দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করে একটি সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করবো।
উপাচার্যও আন্দোলনকারীদের সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানান নাদেল।
আওয়ামী লীগ নেতারা উপাচার্যের বাসভবনে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
তাদের পক্ষে শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল বাশার বলেন, আমাদের একটাই দাবি- উপাচার্যের পদত্যাগ। এই দাবি আদায় না হলে আমরা আন্দোলন থেকে সরছি না। প্রয়োজনে আমরা মারা যাবো।
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আমাদের আলোচনায় আপত্তি নেই। তবে তিনি উপাচার্যের পদত্যাগ ইস্যুতে কথা বলতে হবে। আর উপাচার্যের সাথে আমরা কথা বলতে রাজী নই। যিনি আমাদের উপর গুলি চালিয়েছেন তার মুখও আমরা দেখতে চাই না।
এদিকে অনশনকারীদের মধ্যে অসুস্থের সংখ্যা বাড়ছে। বেলা ৩টা পর্যন্ত ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপাচার্য ভবনের সামনে অনশনে থাকা বাকী সবার হাতেও স্যালাইন চলছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরাও সেখানে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। ডায়াবেটিকস থাকায় তাদের একজনের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানা গেছে।