২০২২-০১-১৮ ০৮:৫৫:৩৮ / Print
বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনকে 'মৃত' দেখাচ্ছে ফেসবুক। অর্থাৎ তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টটি ‘রিমেম্বারিং’ করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিকেলে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে দেখা যায়, তার অ্যাকাউন্টটি ‘রিমেম্বারিং’ করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সাধারণত কেউ মারা গেলে তার অ্যাকাউন্ট রিমেম্বারিং করে দেয় ফেসবুক।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তসলিমা নাসরিনের প্রোফাইলে লিখেছে, ‘আমরা আশা করি যারা তসলিমা নাসরিনকে ভালোবাসেন, তারা তাকে স্মরণ ও সম্মানিত করার জন্য তার প্রোফাইল পরিদর্শন করে সান্ত্বনা খুঁজে পাবেন।’
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) নিজের মৃত্যু নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তসলিমা। ওই পোস্ট দেওয়ার একদিনের মধ্যেই তাকে ‘মৃত’ দেখাতে শুরু করে ফেসবুক। কেউ মারা গেলে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রিমেম্বারিং করতে হলে একটি ফরম পূরণ করে ফেসবুকের কাছে আবেদন করতে হয়। ওই আবেদন যাচাই করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
তবে তসলিমা নাসরিনের ক্ষেত্রে কী ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) তার ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্টে দেওয়া স্ট্যাটাসে লিখেন, আমি চাই আমার মৃত্যুর খবর প্রচার হোক চারদিকে। প্রচার হোক যে আমি আমার মরণোত্তর দেহ দান করেছি হাসপাতালে, বিজ্ঞান গবেষণার কাজে। কিছু অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কারও জীবন বাঁচুক। কারও চোখ আলো পাক।
প্রচার হোক, কিছু মানুষও যেন প্রেরণা পায় মরণোত্তর দেহ দানে। অনেকে কবর হোক চান, পুড়ে যাক চান, কেউ কেউ চান তাদের শরীর পোড়া ছাই প্রিয় কোনও জায়গায় যেন ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কেউ কেউ আশা করেন তাদের দেহ মমি করে রাখা হোক। কেউ আবার বরফে ডুবিয়ে রাখতে চান, যদি ভবিষ্যতে প্রাণ দেওয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার হয়! অসুখ বিসুখে আমি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর নির্ভর করি এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত করবো। কোনও প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে আমার বিন্দুমাত্র বিশ্বাস নেই, ঠিক যেমন বিশ্বাস নেই কোনও কুসংস্কারে।
জীবনের একটি মুহূর্তেরও মূল্য অনেক। তাই কোনও মুহূর্তই হেলায় হারাতে চাই না। মরার পর আমরা কিন্তু কোথাও যাই না। পরকাল বলে কিছু নেই। পূনর্জন্ম বলে কিছু নেই। মৃত্যুতেই জীবনের সমাপ্তি। আমার জীবন আমি সারাজীবন অর্থপূর্ণ করতে চেয়েছি। মৃত্যুটাও চাই অর্থপূর্ণ হোক। সিলেটসানডটকম /এমকেইউ