২০২২-০১-০৬ ১২:৪১:৪৩ / Print
করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধ এবং পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি অপারেশনস-২) মোহাম্মদ উল্ল্যা স্বাক্ষরিত এক পত্রে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অন্য নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- করোনা উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা; দ্রুত ভ্যাকসিন নেওয়া; পুলিশের সব ইউনিটে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস ও ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নির্দেশনা প্রতিপালন; দায়িত্ব পালনের সকল ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার এবং হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এছাড়া সেবাগ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের পুলিশ স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় ও হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ নিশ্চিত করা; প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, হাতকড়া, রায়ট গিয়ার, হ্যান্ডমাইক, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করা; দায়িত্ব শেষে আবাসস্থলে প্রবেশের আগে ইউনিফর্ম ও জুতা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা এবং সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে নিয়মিত।
ডাইনিং রুম, ক্যান্টিন, বিনোদন কক্ষ, রোল কল, ডিউটিতে যাবার আগে ও ফেরার পরে, সমাবেশস্থলে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করা; কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিল বা এসেছে এমন পুলিশ সদস্যদের দ্রুত কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে নির্দেশনা এসেছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, করোনা পজিটিভ সদস্যদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়, জেলা পুলিশ হাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ কর্তৃক তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি ইউনিট ইনচার্জ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিজ ইউনিটের আক্রান্ত সদস্য ও তার পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে এবং সার্বিক সহায়তা দিতে হবে।
হাজতিদের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়েও নির্দেশনা এসেছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, হাজতখানা সবসময় জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। হাজতে থাকা কোনো ব্যক্তির কোভিড-১৯ এর লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবিলম্বে তাকে আলাদা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া রেশন সামগ্রী, ওষুধ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
প্রত্যেক পুলিশ ইউনিটে কর্মরত সব সদস্যদের স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বুস্টার ডোজ গ্রহণ নিশ্চিত করার নির্দেশনাও রয়েছে সদর দপ্তরের চিঠিতে। সিলেট সান/এফবি