২০২২-০১-০৪ ০৫:০৪:২৮ / Print
২০৫ শিশুসহ চার হাজার ৪০০ শরণার্থী ২০২১ সালে সমুদ্র পথে স্পেন যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয়েছেন। শরণার্থী নিখোঁজের এই সংখ্যা পূর্বের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ এবং এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। স্থানীয় সময় সোমবার (২ জানুয়ারি) একটি মনিটরিং গ্রুপ এ তথ্য জানিয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে শরণার্থী নিখোঁজের এমন পরিসংখ্যান দিচ্ছে এ মনিটরিং গ্রুপটি।
ওয়াকিং বর্ডারস বা ক্যামিনান্দো ফ্রন্টেরাস নামের এই গ্রুপটি ক্রমবর্ধমান বিপজ্জনক রুটে, শরণার্থীদের বহন করা নিম্নমানের নৌকা এবং কিছু জাহাজকে দায়ী করছে। তারাই মূলত ঝুঁকিপূর্ণ পথে শরণার্থীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়, এমন অভিযোগ তাদের।
স্পেনের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩৯ হাজার শরণার্থী গত বছর সড়ক বা সমুদ্র পথে পৌঁছেছেন দেশটিতে। এর আগের বছরও একই সংখ্যক শরণার্থী পৌঁছান সেখানে।
ওয়াকিং বর্ডারস বলছে, গত বছর ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার পথে ১২৪টি জাহাজডুবির দুর্ঘটনায় ৯০ শতাংশই নিখোঁজ। আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে কিছু দূরে আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত কতগুলো দ্বীপের সমষ্টি হচ্ছে ক্যানারি দ্বীপুঞ্জ। এগুলো স্পেনের অধীনস্থ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।
হেলেনা মালেনো, যিনি এই গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা তিনি বলেন, অভিবাসীদের জন্য সেট করা হটলাইনগুলোর কল রেকর্ড এবং নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এসেব তথ্য-উপাত্ত জানা গেছে।
মনিটরিং গ্রুপটি প্রতিটি নৌকার অনুসন্ধান করে। অনুমান করা হয় যে অন্তত এক মাস ধরে সমুদ্রে নিখোঁজ ব্যক্তিরা মৃত। পরিসংখ্যানের তালিকায় উঠে আসা তথ্য প্রায় ৯৫ শতাংশই নিখোঁজ ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব করে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা অর্গানাইজেনশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৫৫ জন মানুষ ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর চেষ্টা চালানোর সময় মারা যান বা নিখোঁজ হন। ২০১৪ সালের পর এটি সর্বোচ্চ।
আইওএমের অফিসিয়াল রেকর্ড, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং ওয়াকিং বর্ডারস যে তথ্য দিচ্ছে তার চেয়ে সেই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
সমুদ্র পথে যাওয়ার সময় কতজন মানুষ মারা যান বা নিখোঁজ হন সেই তথ্য সংরক্ষণ করে না স্পেন এবং দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সর্বশেষ পরিসংখ্যান সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন।
খবর রয়টার্স
সিলেট সান/এসএ