২০২২-০১-০১ ১২:৩১:৫২ / Print
টি, আলী স্যার পদকপ্রাপ্ত সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক দত্তরাইল নিবাসী শ্রী রজত চক্রবর্তী শুক্রবার (৩১ শে ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পরলোক গমন করেছেন। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শিক্ষকতা জীবনে অত্যন্ত সাদা মনের একজন মানুষ ছিলেন। নিরহংকার, সদালাপী অমায়িক বন্ধুবাৎসল একজন ভালো মনের শিক্ষক ছিলেন।
গুনী এই শিক্ষক ২০২১ সালে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করা হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক বৃহত্তর সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কৃতি সন্তান জনাব টি, আলী স্যারের নামে প্রতিষ্ঠািত যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চ্যারেটি সংস্থা টি,আলী স্যার ফাউন্ডেশনের জরিপে গোলাপগঞ্জ উপজেলার আদর্শ শিক্ষকের সন্মাননার স্বীকৃতি হিসেবে টি, আলী স্যার পদকে ভুষিত হয়েছেন। গুনী এই শিক্ষকের মৃত্যুতে টি,আলী স্যার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
এই আদর্শ শিক্ষক রজত চক্রবর্ত্তী সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল গ্রামে ১৯৫৩ সালের ৩০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৃত রাজেন্দ্র চক্রবর্ত্তী এবং মাতা মৃত নির্মলা চক্রবর্ত্তী। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ৪র্থ।
রজত চক্রবর্ত্তীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার হাতেখড়ি ঈশ্বর চন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয় (বর্তমানে ঢাকাদক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) থেকে। এই বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক পরীক্ষায় মানবিক বিভাগে ৩য় গ্রেডে এবং ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজ (বর্তমান ঢাকাদক্ষিণ সরকারি কলেজ) কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাণিজ্যিক বিভাগে ৩য় গ্রেডে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে সিলেট মদন মোহন কলেজ থেকে বি. কম পাশ করেন।
রজত চক্রবর্ত্তী শিক্ষা জীবন শেষ করে ঢাকাদক্ষিণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় জড়ান ১৯৭৮ সালে। ২০১৩ সালে অবসরে চলে যান এই স্বনামধন্য শিক্ষক। পরবর্তীতে ঢাকাদক্ষিণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন এবং ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি জহির উদ্দিন খান এবং সাবেক অধ্যক্ষ কার্তিক কুমার শর্মা এবং বর্তমান অধ্যক্ষ ইসমাইল উদ্দিন খান এরর সহযোগিতায় অবসরের পরবর্তীতে শিক্ষকতা করার সুযোগ পান। কর্মজীবনে শিক্ষক হিসেবে আপোষহীন ভাবে নিজ দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
সিলেট সান/এসএ