২০২১-১২-২৯ ০২:০৫:০৭ / Print
চীন থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী আরও ২ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার ডোজ টিকা দেশে এসেছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) টিকার এ চালান ঢাকায় আসে। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও ইউনিসেফ যৌথভাবে এ টিকা সরবরাহের খরচ বহন করবে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, চীন থেকে বাংলাদেশে ২ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার ডোজ টিকা আসার মধ্য দিয়ে এ বছর জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-অনুমোদিত বিভিন্ন সূত্র থেকে ইউনিসেফ ১০ কোটিরও বেশি টিকা সরবরাহ করেছে বাংলাদেশে। সর্বশেষ এই টিকার চালানটি এসেছে বাংলাদেশ সরকার, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও ইউনিসেফের মধ্যে যৌথভাবে খরচ বহনের চুক্তির অংশ হিসেবে।
ইউনিসেফ সরবরাহকৃত ১০ কোটি ডোজ টিকার মধ্যে ৫ কোটিরও বেশি টিকা সংগৃহীত হয়েছে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে। ইউনিসেফ দ্বারা সরবরাহকৃত এই ১০ কোটি ডোজ টিকার বাইরে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক টিকা সংগ্রহ করেছে।
ইউনিসেফের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, টিকার এই চালান ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে কোভিড টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যকে বেগবান করবে। চলতি বছরের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২৮.৪৪ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, মহামারি থেকে পরিত্রাণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো টিকা পাওয়ার সমঅধিকার নিশ্চিত করা এবং বিশ্বব্যাপী টিকা দেওয়ার হার বাড়ানো। উৎপাদকদের কাছ থেকে টিকা সংগ্রহ করে সেটা বাংলাদেশের প্রতিটি স্থানে পৌঁছে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়, যা এখনো চলমান। এরই মধ্যে গতকাল ২৮ ডিসেম্বর থেকে দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ দিচ্ছে সরকার। গত ১৯ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়।
সিলেট সান/এসএ