২০২১-০৮-০৫ ১৭:৫৮:৪৬ / Print
অভিনেত্রী পরীমনির কিছুদিন আগে করা মামলার জেরেই তাকে গ্রেফতার ও মামলা দেওয়া হয়েছে। সে চক্রান্তের শিকার।
একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে তার অভিনয়ের ক্যারিয়ার ধ্বংস করতেই এটা করছে।
পরীমনির মামলার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী এমন অভিযোগ করেছেন। এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশের করা সাতদিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে তিনি এই অভিযোগ করেন।
বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) রাত পৌনে নয়টা থেকে প্রায় পনের মিনিট তার বিরুদ্ধে করা রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়। শুরুতেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকার মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, বাসভবনে মাদক থাকার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার বাসায় দেশি-বিদেশি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। এই মাদকের বৈধ কোনো উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। সরকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তাই এসব মাদকের উৎস ও তার সঙ্গে আর কারা এসব কাণ্ডে জড়িত তা জানতে তদন্ত কর্মকর্তার প্রার্থিত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন জানাই।
এরপর পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন আবেদনের শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, পরীমনি একজন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সবাই তাকে চিনেন। এর আগে তার করা মামলার (ব্যবসায়ী নাসির ইউ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা) জেরেই তাকে গ্রেফতার ও তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সে চক্রান্তের শিকার। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই একটি মহল ক্যারিয়ার নষ্ট করতে এসব করছে। তার স্থায়ী ঠিকানা আছে তদন্তের স্বার্থে যে কোনো স্থানে যে কোনো সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডাকলে সে হাজির হবে। তাই আমরা রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের প্রার্থনা করছি।
এ সময় পরীমনি নিশ্চুপ ছিলেন। এরপর বিচারক তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এরপর তার সহযোগী রাজের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। নয়টা ১০ মিনিটের দিকে শুনানি শেষে পরীমনিসহ চার আসামিকে এজলাস থেকে বের করে নেওয়া হয়।
এ.কে.ডি