পবিত্র মাহে রমজান মাস এলেই বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নতুন করে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের উর্ধ্বগতির কারণে লকডাউন। বাড়তি চাহিদা আর সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়ানো হচ্ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। এ অবস্থায় তেল চিনি ডালসহ ৬টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। পণ্যগুলো হলো ছোলা, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, চিনি ও খেজুর। বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলো।
সোমবার রাজধানীর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ।
তিনি বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যালোচনা, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে পণ্যের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। এই চাহিদার বিপরীতে দেশের উৎপাদন, আমদানির পরিমাণ আমদানির মূল্য বিবেচনা করে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী খুচরা বাজারে ছোলা কেজিপ্রতি ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ভোজ্যতেলের এক লিটারের বোতল ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৬৬০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ৬৭-৬৯ টাকা ও সরু দানার ডাল ৯৭ থেকে ১০৩ টাকায় বিক্রি হবে এবং চিনির খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকায় কিনতে পারবেন ক্রেতারা। সাধারণ মানের খেজুর কেজিপ্রতি ৮০-১০০ ও মধ্যম মানের খেজুর ২০০-২৫০ টাকার বেশি হতে পারবে না।
মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, সাধারণত বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজান মাসে কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীকে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতি মুনাফার চেষ্টা করতে দেখা যায়। আসন্ন রমজানে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিত স্বাভাবিক থাকবে এবং অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কোন আশঙ্কা নেই। রোজার বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। ঢাকায় ২৮টি মনিটরিং দলও কাজ করবে। কোনো ব্যবসায়ী অসদুপায় বা অন্য কোনো অজুহাতে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রমজান মাসে ছোলার চাহিদা ৮০ হাজার মেট্রিক টন, এ বছর জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে এক লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি। পেঁয়াজের বাৎসরিক চাহিদা রয়েছে ২৬ লাখ মেট্রিক টন, এরমধ্যে রমজান মাসের চাহিদা ৩ লাখ মেট্রিক টন। এ বছর জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৪ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি। ভোজ্যতেলের (সয়াবিন) বাৎসরিক চাহিদা ২০ লাখ মেট্রিক টন, এরমধ্যে রমজান মাসের চাহিদা ২ লাখ মেট্রিক টন। এ বছর জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ১৬ দশমিক ২৩ লাখ মেট্রিক টন। মসুর ডালের বাৎসরিক চাহিদা ৫ লাখ মেট্রিক টন, এর মধ্যে রমজান মাসের চাহিদা ৮০ হাজার মেট্রিক টন। এ বছর জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ১ দশমিক ৮৩ লাখ মেট্রিক টন। চিনির বাৎসরিক চাহিদা ১৮ লাখ মেট্রিক টন, এর মধ্যে রমজান মাসের চাহিদা ১ দশমিক ৩৬ লাখ মেট্রিক টন। এ বছর জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ১৩ দশমিক ২৩ লাখ মেট্রিক টন। খেজুরের বাৎসরিক চাহিদা ৬০ থেকে ৭২ হাজার মেট্রিক টন, এর মধ্যে রমজান মাসের চাহিদা ৪০ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এ বছর জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৬২ হাজার মেট্রিক টন।
সিলেট সান/এসএ
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net