হামলার পর ক্যাপিটল ভবনের সামনে ন্যাশনাল গার্ডস বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক ক্যাপিটল ভবনে আবারও হামলা হয়েছে। গাড়ি নিয়ে চালানো এই হামলায় নিহত হয়েছেন ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এক পুলিশ সদস্য। আহত হয়েছেন আরও এক পুলিশ সদস্য। এছাড়া পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন হামলাকারীও। হামলার পর ক্যাপিটল ভবন বন্ধ করে দিয়েছে ন্যাশনাল গার্ডস।
গত ৬ জানুয়ারিও হামলা হয়েছিল এই ক্যাপিটল ভবনে। সেসময় হামলা করেছিল ট্রাম্পকে ক্ষমতায় দেখতে ইচ্ছুক তার উগ্রপন্থি সমর্থকরা। সেদিনের সেই ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজন। ট্রাম্পের ক্ষমতা থেকে বিদায়ের মাত্র সপ্তাহ দু’য়েক আগে হওয়া সেই হামলায় আলোড়ন পড়ে যায় সারা বিশ্বে।
যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টার কয়েক মিনিট পরই একটি নীল রঙের গাড়ি এসে ক্যাপিটলের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা দুই পুলিশ সদস্যকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এরপর পুলিশ সদস্যদের পেছনে থাকা ব্যারিকেডে আঘাত করে গাড়িটি।
এরপর ছুরি হাতে নিয়ে গাড়ি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত চালক। এসময় পুলিশের গুলিতে আহত হন তিনি। পরে হাসপাতালে মারা যান ওই ব্যক্তি। অন্যদিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান গাড়ির ধাক্কায় আহত পুলিশ সদস্যও।
এই গাড়ি দিয়েই শুক্রবার হামলা করা হয় ক্যাপিটল ভবনে
এই গাড়ি দিয়েই শুক্রবার হামলা করা হয় ক্যাপিটল ভবনে
গত ৬ জানুয়ারি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলার পরে ক্যাপিটলে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বহুগুণে। সেই হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজন নিহত হয়েছিলেন। এরপর কট্টরপন্থিদের আরও হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শুক্রবার ক্যাপিটল ভবনের বাইরে ব্যারিকেডে গাড়ি নিয়ে হামলা হওয়ার আগেই সেখানে দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের সতর্ক করে দেয় পুলিশ। এমনকি যারা ভবনের ভেতরে ছিলেন তাদের জানালার কাছ থেকে সরে যেতে বলা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্যাপিটল ভবনে প্রবেশ ও বের হওয়ার সকল রাস্তা। যারা বাইরে ছিলেন তাদেরকেও অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে বলে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ইস্টারের ছুটির ফলে শুক্রবার ক্যাপিটল ভবনে মানুষের উপস্থিতি ছিল অন্যদিনের তুলনায় অনেক কম। ফলে হতাহতের ঝুঁকিও ছিল কম।
গত জানুয়ারি মাসে ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার পরে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উস্কানিতেই তার সমর্থকরাই সেই হামলা চালিয়েছিলেন।
তাই ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডসের সদস্য মোতায়েনে দেরি করা হয়েছিল। তারপর থেকেই ওয়াশিংটনে অবস্থিত এই ক্যাপিটল ভবনে ন্যাশনাল গার্ডস’র অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
অবশ্য শুক্রবারের হামলায় জড়িত ও পরে পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই হোয়াইট হাউস থেকে ক্যাম্প ডেভিডে যান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামলার ঘটনা তদন্তে ক্যাপিটল পুলিশকে সহায়তা করছে এফবিআই।
সিলেট সান/এসএ
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net