মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানি (এনটিসি) মাধবপুর কর্তৃক চা শ্রমিকদের জন্য নির্মানাধীন ঘর নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্বলিত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পোষ্ট দেয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা নিয়ে চা-বাগান ব্যবস্থাপকের নেতৃত্বে চা-পঞ্চায়েতদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় ন্যাশনাল টি কোম্পানি (এনটিসি) কর্তৃক মাধবপুর চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য বাগানের ৯নং সেকশনের খালি জায়গায় ১০টি গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে।
গত ২৬ মার্চ আদিবাসী ছাত্রনেতা মোহন রবিদাস ফেইসবুক লাইভে এসে শ্রমিকদের জন্য ন্যাশনাল টি কোম্পানি কর্তৃক নির্মানাধীন ২১ ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ১০ ফুট প্রস্থ ঘরের জায়গায় ১৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭ ফুট প্রস্থ দেখিয়ে শ্রমিকদের বসবাস অযোগ্য ঘর তৈরি করা হচ্ছে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে ফেইসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে। সে পোস্টটি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে উঠে। ভিডিও টি ন্যাশনাল টি কোম্পানির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জিয়াউল হাসানের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখতে মাধবপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান মুন্নাকে নির্দেশ দেন।
নির্দেশ পেয়ে ১ এপ্রিল দুপুরে চা বাগানের ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান মুন্নার নেতৃত্বে মাধবপুর চা বাগান এর টিলাক্লার্ক কংকন ছত্রী, রামসুন্দর দাস, বলরাম কৈরী, দিলীপ কৈরী, অফিসক্লার্ক আশিস বর্মা, ম্যাকানিক ক্লার্ক খসরুজ্জামান, সাবেক ভ্যালী সভাপতি গোপাল নুনিয়া, পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধুরাম দাস, সহ-সভাপতি বাবুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রাজু রাজভর ও অন্যদের নিয়ে সরেজমিন নির্মানাধীন বাসস্থান পরিদর্শন করেন। সবার উপস্থিতিতে ঘরগুলোর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের মাপ যোগ দিয়ে দেখা যায়, ঘরগুলো মুল মাপের চেয়ে দেড় থেকে দুই ফুট বেশী করা হয়েছে।
এসময় চা শ্রমিক নেতারা মুঠোফোনে মোহন রবিদাসকে বলেন, কারো সাথে আলোচনা না করে এরকম বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি করা হলে এর দায়ভার তাকেই গ্রহণ করতে হবে।
এসময় তদন্তকারীদল মিথ্যা তথ্য দিয়ে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টার জন্য তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে ফেইসবুকে প্রচারিত বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্বলিত ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার আহবান জানান।
এব্যাপারে মাধবপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান মুন্না জানান, ফেইসবুকে প্রচারিত ভিডিওটি পরিদর্শনকালে তার কোন সত্যতা মিলেনি।
এ বিষয়ে ফেইসবুকে ভিডিও পোস্টকারী মোহন রবিদাস বলেন, আমি ঘর তৈরি করা হচ্ছে দেখে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঘরগুলো বড় করার অনুরোধ করেছি। পরে কর্তৃপক্ষের কথায় আপলোড করা ভিডিও টি ডিলেট করে ফেলেছি।
সিলেট সান/এসএ
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net