আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিনটি। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণা বলছে শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও কর্মক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে তারা।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্যে দেশে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে গেলেও কমেনি নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ কিংবা যৌন নির্যাতন। বরং নারী নির্যাতন বিরোধী আইন থাকার পরও বেড়ে চলেছে সহিংসতা।
মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালের ৮ই মার্চ প্রতিবাদ করেন যুক্তরাষ্ট্রের সুতা কারখানার একদল নারী কর্মী। তাদের উপর দমনপীড়ন চালায় মালিকপক্ষ।
পরে নানা ঘটনার সূত্রে ১৯০৮ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম নারী সম্মেলন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালে ৮ই মার্চকে নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ। নারীর অধিকার আদায় ও মর্যাদার রক্ষার দিন হিসেবেই দেখা হয় নারী দিবসকে।
দেশে পেশগত ক্ষেত্রে আকাশপথ, রেলপথ এমনকি রাষ্ট্র চালনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নিজেকে তুলে ধরেছে নারী। ঘরে বাইরে নিজের কর্মক্ষমতা দিয়ে অবদান রেখে চলেছে দেশের অর্থনীতিতে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে শিক্ষা ক্ষেত্রেও ৫০ শতাংশের উপরে রয়েছে নারী।
কিন্তু অর্থনীতিবিদরা বলছেন কর্মক্ষেত্রে কিংবা নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এখনও পিছিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের নারীরা। রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীর অংশ গ্রহন এখনও অনেক কম।
অন্যদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে নির্যাতন বিরোধী আইন থাকার পরও বেড়েছে নারীর প্রতি সহিংসতা। পুলিশের তথ্য অনুসারে, গেল ৫ বছরে শুধু থানাতেই ২৬ হাজার ৬শ ৯৫টি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আর আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে চলতি বছর শুধু জানুয়ারি মাসেই স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন ১১ জন নারী।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, নারীর অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় দেশে অনেক আইন থাকলেও সেসব বাস্তবায়ন না হওয়ায় এসবের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
সিলেট সান/এসএ
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net