পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১২ বছরেও বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছে, মামলাটির বিচার চলতি বছর শেষ হয়ে যাবে। এদিকে আসামিপক্ষ বলছে, হত্যা মামলায় অনেক আসামি খালাস পেয়েও বিস্ফোরক মামলার কারণে জেলে আছেন। মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি হলে তারা মুক্তি পাবেন।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় বাংলাদেশ হারায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে।
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ম আদালতের রায় এবং ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল নিষ্পত্তি হয়। এ ঘটনার বিস্ফোরক আইনে করা মামলা এখনো বিচারাধীন।
রাজধানীর বকশিবাজারের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে এ মামলার কার্যক্রম চলছে। ১১৬৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সর্বশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। ওই দিন পাঁচ জন সাক্ষ্য দেন। আগামী ২৩ ও ২৪ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ।
মামলা সম্পর্কে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার বিচার নিম্ন আদালতের পর হাইকোর্টে পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। বিস্ফোরক আইনের মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। নিয়মিত সাক্ষ্যগ্রহণ হচ্ছিল। মাঝে তো কয়েকমাস করোনার কারণে বন্ধ ছিল। এখন আদালতের কার্যক্রম চলছে। সাক্ষীও আসছে। ১৮৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আমরা আশা করি, ৩০০-৩৫০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে চলতি বছরেই আদালত মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে রায় ঘোষণা করতে পারবেন।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১২ বছর হয়ে গেল বিস্ফোরক আইনের মামলাটির বিচার শেষ হয়নি। হত্যা মামলার খালাসপ্রাপ্ত ২৭৮ আসামি বিস্ফোরক মামলারও আসামি। হত্যা মামলায় খালাস পেয়েও বিস্ফোরক আইনের মামলার কারণে তারা মুক্তি পাননি। তাই উচিত হবে যারা হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন তাদের জামিন দেওয়া, না হয় বিস্ফোরক আইনের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা। কিন্তু তা তো হচ্ছে না। আমরা আশা করছি, বিস্ফোরক মামলায় তারা খালাস পাবেন।’
পিলখানা ট্র্যাজেডির ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে প্রথমে চকবাজার থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর করা হয়।
২০১০ সালের ১২ জুলাই হত্যা মামলায় এবং ২৭ জুলাই বিস্ফোরক আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ২০১১ সালের ১০ আগস্ট হত্যা মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরু হলেও বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার স্থগিত ছিল। হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ পর্যায়ে ২০১৩ সালের ১৩ মে বিস্ফোরক আইনের মামলায় চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। হত্যা মামলায় চার বছর ৮ মাসে ২৩২টি কার্যদিবস পর ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা হয়।
রায়ে ঢাকার নিম্ন আদালত ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টে আপিল চলার সময় কারাগারে থাকা দুজন মারা যান। খালাস পান ১২ আসামি।
সিলেট সান/এসএ
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net