সুনামগঞ্জের মেয়রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা: || ২০২১-০১-২০ ১৪:৫১:১৬

image

দুই রোহিঙ্গাকে জন্মসনদ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আজ বুধবার মামলাটির নির্ধারিত তারিখে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট সুনামগঞ্জ সদর জোনের বিচারক কুদরত-এ-ইলাহী পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

 

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক আশেক সুজা মামুন। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তারা হলেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) হোসেন আহমদ রাসেল, পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী পিযুষ কান্তি তালুকদার, পৌরসভার জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধক ও স্যানিটারি পরিদর্শক মো. সেলিম উদ্দিন, ও সুনামগঞ্জ বারের আইনজীবী কাওসার আলম। এই পাঁচজন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না, পুলিশ অভিযোগপত্রে তাদের নাম যুক্ত করেছে।

 

সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত জানান, তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষযটি শুনেছেন। তবে যে ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে সে ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেন।

 

তিনি জানান, যখন এসব সনদপত্র দেওয়া হয় তখন তিনি ঢাকায় ছিলেন। তখন মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) হোসেন আহমদ রাসেল। তাই এই প্রক্রিয়ার কোনোভাবেই তিনি যুক্ত নন বলে দাবি তার।

 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা পাসপোর্ট কার্যালয়ে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পাসপোর্ট করতে আসেন দুই রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন। তারা টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চার ব্যক্তির সহযোগিতায় সুনামগঞ্জে আসেন। এই চার ব্যক্তি জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।

 

ওই দিন সকালে পাসপোর্ট করতে গিয়ে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। বিকেলে আবার ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে পাসপোর্ট কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে দুই রোহিঙ্গা ও তাদের সহযোগী চার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেন পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

 

ওই দিনই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার তেরানগর গ্রামের মো. ফরহাদ আহমদ (৩৬), রামনগর গ্রামের মো. নূর হোসেন (২৩), সুজাতপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন (২৪) ও আমির উদ্দিনকে (২৩) আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার।

 

এর আগে ওই দুই রোহিঙ্গা সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপাড়া এলাকার বর্তমান বাসিন্দা হিসেবে স্থানীয় কাউন্সিলর হোসেন আহমদ রাসেলের সুপারিশে সুনামগঞ্জ পৌরসভা থেকে জন্ম সনদ নিয়েছিলেন।

 

এই মামলায় গত বছরের ২১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এতে এজাহারভুক্ত চার আসামি ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া পাঁচজনের নাম যুক্ত করা হয়।  অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ প্রদান প্রক্রিয়ায় পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরসহ ওই কর্তকর্তারা যুক্ত আছেন। পরে সেটি সত্যায়ন করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য কাওসার আলম।

 

এমআরএম

Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu

Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100

Phone: 01711487556, 01611487556

E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com

Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid

UK office : 736-740 Romford Road Manor park London  E12 6BT

Email : uksylhetsun@gmail.com

Website : www.sylhetsun.net