তাপমাত্রা বাড়লেই বেড়ে যায় লোডশেডিং

সিলেট সান ডেস্ক :: || ২০২৪-০৪-০৬ ১৭:২৪:৫২

image

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে এখনো প্রকৃতির ওপর নির্ভর করতে হয়। তাপমাত্রা কম থাকলে সবাই বিদ্যুৎ পায়। আর তাপমাত্রা বাড়লে মানুষকে লোডশেডিংয়ে ভুগতে হয়। এ অবস্থা হয়েছে এখন দেশের। সিলেটেও একই চিত্র।

আর তাই নিশ্চিত হয়নি বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ। শহরের চেয়ে গ্রামে বিদ্যুতের অবস্থা খারাপ। দেশের অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)।

এ সংস্থার দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ বিভাগের এক হিসাবে দেখা যায়, সারা দেশে এক ঘণ্টা লোডশেডিং করা হলে ৯৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।

এ হিসাবে ২ হাজার মেগাওয়াট ঘাটতির জন্য দুই ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং করতে হয়। তবে বিতরণ সংস্থাগুলো বলছে, ঢাকাসহ অধিকাংশ শহর এলাকা লোডশেডিংয়ের বাইরে রাখা হয়েছে।

বাকি গ্রাম এলাকায় সমহারে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হচ্ছে না। এতে কোনো কোনো গ্রামে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টাও লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সিলেটে গত এক সপ্তাহ ধরে বেড়েছে লোডশেডিং।

কয়েক দিন ধরে দিনে দুই ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং হলেও মঙ্গলবার থেকে দিনের বেলা সিলেটের গ্রামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। বুধবার বেলা তিনটায় সিলেট জেলায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের গ্রাহকদের চাহিদা ছিল ১০৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে সরবরাহ ছিল ৫৬ মেগাওয়াট।

প্রায় ৫৩ শতাংশ লোডশেডিং করতে হয়েছে। দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট। বুধবার দিনের বেলায় সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল সাড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। ওই সময়ে সরবরাহ ঘাটতি ছিল ২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি, যা লোডশেডিং দিয়ে পূরণ করা হয়েছে।

এর পুরোটাই করা হয়েছে মূলত ঢাকার বাইরে, দেশের বিভিন্ন গ্রাম এলাকায়। বিদ্যুৎ খাত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে দিনে কখন কত চাহিদা হবে, কতটা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে, কী পরিমাণ জ্বালানি লাগবে; এসব তো জানা কথা।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এবার গ্রীষ্মে চাহিদা সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট ছাড়াতে পারে। পবিত্র রোজার মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে তারা প্রস্তুতির কথা জানিয়েছিল।

তাহলে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলো না কেন। জ্বালানি সরবরাহের নিশ্চয়তা কেন থাকবে না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। গ্রীষ্ম মৌসুমে গত দুই বছরে দিনে গড়ে তিন ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং করা হয়েছে।

কোথাও কোথাও ৮ থেকে ১০ ঘণ্টাও লোডশেডিং হয়েছে। সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন না হলেও বাড়তি উৎপাদন সক্ষমতার কারণে গ্রহক খরচ ঠিকই বেড়েছে বিদ্যুৎ খাতে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না কোনভাবেই।

বিদ্যুৎ খাতে দিনে গ্যাসের চাহিদা ২৩২ কোটি ঘনফুট। এবার গ্রীষ্মে পিডিবি অন্তত ১৫০ কোটি ঘনফুট সরবরাহের দাবি জানিয়েছে। এখন সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ১০০ কোটি ঘনফুট। এতে সাড়ে ১১ হাজার মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার অর্ধেকের বেশি বসিয়ে রাখতে হচ্ছে।

পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। কয়লা থেকে সর্বোচ্চ উৎপাদন করা হচ্ছে।

এলএনজি টার্মিনাল চালু হলে গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে বিদ্যুৎ খাতে। তেলচালিত কেন্দ্রগুলোকে উৎপাদন বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশা করেন

Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu

Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100

Phone: 01711487556, 01611487556

E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com

Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid

UK office : 736-740 Romford Road Manor park London  E12 6BT

Email : uksylhetsun@gmail.com

Website : www.sylhetsun.net