চা-শিল্প কঠিন সময় অতিক্রম করছে। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন বাগানমালিকরা। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিলেট নগরের একটি অভিজাত হোটেলে চা-বাগান মালিকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এমন উদ্বেগের কথা জানালেন প্যারাগন গ্রুপ টি-স্টেটের উপদেষ্টা, কালিকাবাড়ি ও ম্যাকসন ব্রাদার্স টি-স্টেটের ডিরেক্টর মুফতি এম হাসান।
টি প্ল্যান্টার্স সিলেট ডিভিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চা-শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিল্প। রপ্তানিমুখর শিল্প হিসেবে ঐতিহ্যগতভাবে এ শিল্প আমাদের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির কারণে রপ্তানি হ্রাস পেলেও এ শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চা-শিল্পের উপর কয়েক লক্ষ শ্রমিক, কর্মচারীর জীবন জীবিকা নির্ভরশীল। পরোক্ষভাবে আরো কয়েক লক্ষ লোক চা-শিল্পের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বর্তমানে চা-শিল্প কঠিনতম পরিস্থিতিতে নিমজ্জিত যা এই শিল্পের টিকে থাকার ভিত নাড়িয়ে দিচ্ছে।
উৎপাদন মূল্যের চেয়েও চা-নিলাম মূল্য কম বলে উল্লেখ করে মুফতি এম হাসান বলেন, বাগানের রোগবালাই দমনে ব্যবহৃত ঔষধ, সার এবং বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বেড়েছে কিন্তু নিলামমূল্য তার চেয়েও বেশি মাত্রায় কমেছে।
ভালো মানের চা ২২০ টাকা বা এর চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি হলেও উৎপাদন খরচ এর চেয়ে বেশি ছিলো। এর বিপরীতে বর্তমানে নিলামমূল্য ১৭০ টাকা ১৭৫ টাকা থেকে নেমে ১০০ বা ১১০ টাকায় এসেছে। এমনকি ১০০ টাকার নিচেও নিলামে বিক্রি হচ্ছে। চায়ের এই নিলামমূল্য দিয়ে লাভের প্রশ্নই উঠে না, উৎপাদন খরচও বহন করা কোনোভাবে সম্ভব নয়।
তিনি এ জন্য দেশের বাইরে থেকে চোরাই পথে নিম্নমানের চা আসা, অপরিকল্পিত পদ্ধতিতে পঞ্চগড় এলাকায় নিম্নমানের চা-উৎপাদন এবং আইন-বিধি না মেনে সেখানেই সরাসরি ফ্যাক্টরি থেকে চা-বিক্রয়; মজুরি, তেল, রেশন, ঔষধ (এগ্রো ক্যামিকেল) ও বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া; কয়েকটি বড় প্যাকেটিয়ার দ্বারা নিলাম বাজার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাংক ঋণ পরিশোধের উচ্চ হারকে দায়ী করেন।
এসকল সমস্যার দ্রুত সমাধান নাহলে অনেক বাগান বন্ধ হয়ে যাবে এবং চা-শিল্প ধ্বংসের মুখে পতিত হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কেজি প্রতি চায়ের নিম্নতম মূল্য ৩৫০-৪০০ টাকা নির্ধারণ, চোরাই পথে চা-আসা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ, ছোট কোম্পানি বা বাগানকে প্যাকেজিংয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন বাগানবান্ধব সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
চা-বাগান মালিকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ম্যাকসন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খছরুজ্জামান, রেহানা চা-বাগানের পরিচারক শফিকুল বারী, খাদিম চা-বাগানের জেনারেল ম্যানেজার নোমান হায়দার,
মালনি ছড়া চা-বাগানের ম্যানেজার আজম আলী, মাথিউরা ও মুমিন ছড়া চা-বাগানের ম্যানেজার রুকন উদ্দিন খান, এম আহমদ টি অ্যান্ড ল্যান্ড কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ মহিউদ্দিন, এম আহমদ গ্রুপের পরিচালক সাজিদ চৌধুরী প্রমুখ।
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net