বাদামবাগিচায় বাড়ির সামনে গেইট নির্মাণ করা নিয়ে উত্তেজনা

সিলেট সান ডেস্ক:: || ২০২৩-১০-২৮ ১০:০২:১৮

image

সিলেট নগরীর বাদামবাগিচা এলাকায় প্রতিবেশীর বাসার সামনে জোর পূর্বক গেইট নির্মাণ করার পায়তারা করছে একটি মহল।

গত কয়েকদিন ধরে এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। একপক্ষ গেইট নির্মাণে যায় আরেকপক্ষ বাধা দেয়। এনিয়ে আদালতে উভয়পক্ষের মামলাও চলমান। আদালতে মামলা চলমান থাকাবস্থায় গেইট নির্মাণের প্রস্তুতি নিলে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। 

স্থানীয় লোকজন জানান, ৬ শতক জমির প্রকৃত মালিক ছিলেন আব্দুর রব। তিনি ওই জমি বিক্রি করেন আলাউদ্দিন ওরফে নুর আলী ও তার স্ত্রী সালমা বেগমের কাছে। এতে জমির পরিমাণ ৬ শতক থাকার কথা থাকলেও তিনি সাড়ে শতক উল্লেখ করে জমি বিক্রি করেন।

পরবতীর্তে একই জমি কেনেন আফাজুল হক সুমন ও তার স্ত্রী লুবনা আক্তার লুনা। এতে জমির পরিমাণ দেখানো হয় ৬ শতক ৭৫ শতাংশ। এরমধ্যে আফাজুল হক সুমনের নামে ৪ দশমিক ৭৫ শতক এবং তার স্ত্রীর নামে ২ শতক দেখানো হয়। অথচ নামজারির সময় দেখা যায় তাদের জমির পরিমাণ ৬ শতকই আছে।


এ অবস্থায় জমি না বাড়লেও সড়কের দিকে চোখ পড়ে সুমনের। প্রতিবেশীদের চলাচলের সড়কটি দখলের পায়তারা করেন সুমন ও তার লোকজন। এনিয়ে প্রতিবেশী শাহ মো. নজমুল হোসেন যৌথ চলাচলের রাস্তায় গেইট না বসানোর জন্য সুমনকে অনুরোধ করেন।

কিন্তু সুমন আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে জোরপূর্বক গেইট বসাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। প্রথমে গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে বেশ কিছু লোক নিয়ে গেইট দেওয়ার জন্য রাস্তায় কাজ শুরু করেন।

এরপর পুলিশ এসে তাদেরেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে ১৪ সেপ্টেম্বর ও ১৭ সেপ্টেম্বর একইভাবে গেইট দেওয়ার জন্য লোকবল নিয়ে কাজ শুরু করেন। পরে পুলিশ এসে তাদরেক সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। দফায় দফায় হামলায় ভেঙ্গে ফেলা হয় প্রতিবেশী নজমুলের গেইটের সামনের আরসিসি ঢালাই।


এসব হামলায় নেতৃত্ব দেন এলাকার মামুন ও আসাদসহ বেশ কয়েকজন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আদালতে মামলা চলমান থকায় কোনপ্রকার কাজ না করার জন্য তাদেরকে বাধা দেন। বর্তমানে কাজ বন্ধ থাকলেও কৌশলে যেকোন সময় গেইট নিমাণ করার পায়তারা করছেন সুমন ও তার পরিবারের লোকজন। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বড়ধরনের অপ্রীতকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকার লোকজন জানান।  


এ ব্যপারে এয়ারপোর্ট থানার এসআই মো. সাইদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আদালতের বিচারধীন তাই আমরা উভয়পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলেছি। বিষয়টি নিয়ে আমার উভয়পক্ষকে নিয়ে আম্বরখানা পুলিশ ফাড়িতে বসি। ফাড়ি ইনচার্জ তাদেরকে বিষয়টি আপোষে শেষ করার পরামর্শ দেন।

Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu

Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100

Phone: 01711487556, 01611487556

E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com

Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid

UK office : 736-740 Romford Road Manor park London  E12 6BT

Email : uksylhetsun@gmail.com

Website : www.sylhetsun.net