মৌলভীবাজারের রাজনগরে মায়ের হাতেই খুন হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আবির হাসান জয় (১২) নামে এক শিশু। নিজ হাতে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মা সোহেনা বেগম (৩৫)।
উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের ইন্দানগর পানপুঞ্জি (যাদুরগুল) এলাকায় বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সোহেনাকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে কী কারণে মা শিশুছেলেকে হত্যা করেছেন এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের কাছে সোহেনা বেগম বলেছেন- ছেলের মোবাইল আসক্তিতে রেগে গিয়ে মারধরের একপর্যায়ে আবিরের মৃত্যু ঘটে।
তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন ভিন্ন কথা। সোহেনা বেগমের পরকীয়ার বিষয়টি হয়তো ছেলে দেখে ফেলায় ছেলেকে হত্যা করেছেন তিনি। পুলিশ দুটি বিষয় সামনে রেখেই তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের ইন্দানগর পানপুঞ্জি (যাদুরগুল) এলাকার শাহজালাল সার ফ্যাক্টরির কর্মচারী মো. আসলাম আলীর ছেলে আবির হাসান জয় (১২) ফ্যক্টরির এনজিএফ স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। শরীরে জ্বর থাকায় সে বুধবার স্কুলে যায়নি।
সকালে নিজের ওড়না গলায় পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন নিজের মা। খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার ও নিহতের মা সোহেনা বেগমকে আটক করেছে।
ঘটনার পর সদর সার্কেলের এএসপি মো. আজমল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের কাছে হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে সোহেনা বেগম জানিয়েছে, ছেলে আবির হাসান জয় মোবাইলে বেশ আসক্ত ছিল। তাকে বার বার বারণ করা সত্ত্বেও সে গেম ইফটিউচ খেলতো।
বুধবার সকালে মোবাইলে গেম খেলা ও ইউটিউব দেখায় মেতে ছিলো। এতে দুজনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি রেগে গিয়ে নিজের ওড়না দিয়ে ছেলের গলায় ফাঁস দেন। এতে ছেলেটি শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায়।
পুলিশের কাছে এমন বর্ণনা দিলেও স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন- শুধু মোবইলের কারণেই তাকে হত্যা করেছেন এমনটি নয়। এতে পরকীয়ার ঘটনাও জড়িত থাকতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন- জনশ্রুতি রয়েছে, সোহেনা বেগম পরকীয়ায় মত্ত ছিলেন। আমরা শুনেছি- এক ব্যক্তি প্রায়ই তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। হয়তো শিশুটি মায়ের কোনো অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার বিষয়টি দেখে ফেলে।
আর এ কারণেই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে সোহেনা বেগম। রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মির্জা মাজহারুল আনওয়ার বলেন, খবর পেয়ে আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়েছি।
মোবাইলের কারণেই ছেলেকে হত্যা করেছে বলে আমাদেরকে জানিয়েছে। পরকীয়ার বিষয়টি আমাদের সামনে উঠে আসেনি। তবে এ বিষয়েও আমরা খোঁজ নিচ্ছি। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net