সিলেটের গোলাপগঞ্জে পূর্ব শত্রুর জেরে প্রতিপক্ষের গোয়ালঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৩ জুলাই) রাতে পোনে ২টার দিকে উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের বাঘা মুসলিমাবাদ (গণ্ডামারা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী মাছুমা আক্তার ইমা (২৫) বাদি হয়ে একই এলাকার মৃত আজামিল আলীর ছেলে আবুল মিয়াকে অভিযুক্ত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি বাড়ির পাশে মাঠে ফুটবল খেলায় বিবাদির সাথে বাদির ভাই তাওহিদ আহমদের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিবাদি গালিগালাজ করে তাওহিদ আহমদকে মারপিট করে।
তখন খেলার মাঠে বিষয়টি অন্য খেলোয়াড়রা সমাধান করে দিতে চাইলে বিবাদী না মেনে ওই দিন সন্ধ্যায় তাওহিদের বাড়িতে এসে তাকে না পেয়ে তার বয়োবৃদ্ধ মাকে মারপিট করে জখম করে।
এঘটনায় ওই বৃদ্ধ মহিলা সুফিয়া বেগম বাদি হয়ে আদালতে মামলা করেন। গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় যার মামলা নং-২০। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
ওই মামলায় বিবাদী আবুল মিয়া জামিন নিয়ে এসে গত দুই মাস ধরে ওই বৃদ্ধ মহিলাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধমকি প্রদান করে আসছে এবং ওই পরিবারের সদস্য সহ জান-মালের ক্ষতি সাধনের চেষ্টায় লিপ্ত ছিল।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, রবিবার রাত ১টার দিকে বাদি মাছুমা আক্তার ইমার পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আনুমানিক পোনে দুইটার দিকে বিবাদি আবুল মিয়া পরিকল্পিত ভাবে বাদির গোয়ালঘরে আগুন দিয়ে চলে যায়।
তখন আগুনের শব্দ শুনে বাদির পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন বিবাদি আগুন লাগিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আগুনের ঘটনায় গোয়ালঘরে থাকা ৩টি গরু যার মধ্যে দুইটি গরু গর্ভবতী ছিল, ২টি হাঁস, হাল চাষের একটি ট্রাক্টর ও পানির পাম্পের
পাইপ, গাছপালা-বাঁশঝাড় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় সর্বমোট সাড়ে ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।
অভিযোগের বাদি মাছুমা আক্তার ইমা বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। খবর পেয়ে আমি বাড়িতে আসি। রাতেই পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায় এবং থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেন
। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত আবুল মিয়াকে আইনের আওয়াত এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে বিবাদি আবুল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। পুলিশ তদন্ত করতে গেছে।
Editor Incharge: Faisal Ahmed Bablu
Office : 9-C, 8th Floor, Bluewater Shopping City, Zindabazar, Sylhet-3100
Phone: 01711487556, 01611487556
E-Mail: sylhetsuninfo@gmail.com, newssylhetsun@gmail.com
Publisher: Md. Najmul Hassan Hamid
UK office : 736-740 Romford Road Manor park London E12 6BT
Email : uksylhetsun@gmail.com
Website : www.sylhetsun.net